Rail Project-Arambagh: ‘বুঝতেই পারছি না ফাঁকা মাঠ থাকার পরও কেন দিঘির উপর দিয়েই ৬০০ কোটি খরচ করে রেললাইন তৈরি করছে?’, প্রশ্ন বিক্ষোভকারীর
Rail Project:এ দিন শুধু বিক্ষোভ নয়, এবার জুডিশিয়াল কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ভাবাদিঘির আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, মঙ্গলবার ভাবাদিঘিতে রেলের আধিকারিকরা যে পর্যবেক্ষণ করবেন সে কথাও আন্দোলনকারীদের জানানো হয়নি।

ভাবাদিঘি (হুগলি): হুগলির ভাবাদিঘিতে রেল ব্রিজের কাজ শুরু করেছিল রেল দফতর। তবে তাতে গ্রামবাসী বাধা দিতেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক (রাজ্য সরকার-রেল-বিক্ষোভকারী গ্রামবাসী) হয়। সেই বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান পর এই কাজ শুরু করে রেল। মূলত, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের ৮২.৪৭ কিলোমিটারের মধ্য মাত্র ৬০০ মিটারের কাজ হচ্ছিল না কিছুতেই। ভাবাদিঘি জটেই আটকে ছিল ওই কাজ। বারবার বাধা আসছিল প্রোজেক্টে। বৈঠকের পর সেই কাজও শুরু হয়। কিন্তু ফের শুরু হল গণ্ডগোল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁরা যে দাবি করেছিলেন তা মানেনি রেল। তাই ফের বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।
মঙ্গলবার দুপুরে তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের ভাবাদিঘিতে হঠাৎই পরিদর্শনে আসেন রেলের আধিকারিকরা। রেলের সরকারি আধিকারিকদের এলাকায় দেখেই আন্দোলনকারীরা হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। রেল ও রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করেনি। এ দিন পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সংশ্লিষ্ট পোস্টারে লেখা ছিল, “টাকা চাই না পয়সা চাই না,আমরা নয়কো লোভী,শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা বাঁচাবো দিঘি।”
এ দিন শুধু বিক্ষোভ নয়, এবার জুডিশিয়াল কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ভাবাদিঘির আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, মঙ্গলবার ভাবাদিঘিতে রেলের আধিকারিকরা যে পর্যবেক্ষণ করবেন সে কথাও আন্দোলনকারীদের জানানো হয়নি।এরপরই গ্রামের পুরুষ মহিলা একযোগে হাতে পোস্টার নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। তবে রেলের কোনও আধিকারীকে ক্যামেরার সামনে এই নিয়ে মুখ খোলেননি।
গ্রামবাসী দিলীপ পণ্ডিত বলেন, “রেলের লোকজন এসেছে। মাটির পরীক্ষা করতে এসেছিলেন। অবাক হচ্ছি, আমাদের জলাশয়, আমাদের পুকুরে রেললাইন হবে অথচ আমাদের সঙ্গেই বৈঠক করছে না।” ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সম্পাদক সুকুমার রায় বলেন, “রেলের আধিকারিকরা এসেছেন। আমরা বললাম, আমরা রেলকে সাহায্য করি। তবে রেল এবং রাজ্য সরকার বৈঠকে যা আলোচনা করেছে তার এক শতাংশও পূরণ হয়নি। আমাদের দাবি যেন পূরণ হয়। বুঝতেই পারছি না কেন ফাঁকা মাঠ থাকার পরও দিঘির উপর দিয়ে ৬০০ কোটি টাকা খরচ করে রেললাইন তৈরির পরিকল্পনা করছে।”
ভবাদিঘি নিয়ে গ্রামবাসীদের কী দাবি?

