AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rail Project-Arambagh: ‘বুঝতেই পারছি না ফাঁকা মাঠ থাকার পরও কেন দিঘির উপর দিয়েই ৬০০ কোটি খরচ করে রেললাইন তৈরি করছে?’, প্রশ্ন বিক্ষোভকারীর

Rail Project:এ দিন শুধু বিক্ষোভ নয়, এবার জুডিশিয়াল কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ভাবাদিঘির আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, মঙ্গলবার ভাবাদিঘিতে রেলের আধিকারিকরা যে পর্যবেক্ষণ করবেন সে কথাও আন্দোলনকারীদের জানানো হয়নি।

Rail Project-Arambagh: 'বুঝতেই পারছি না ফাঁকা মাঠ থাকার পরও কেন দিঘির উপর দিয়েই ৬০০ কোটি খরচ করে রেললাইন তৈরি করছে?', প্রশ্ন বিক্ষোভকারীর
রেলপ্রোজেক্ট নিয়ে বিক্ষোভImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2025 | 10:33 AM
Share

ভাবাদিঘি (হুগলি): হুগলির ভাবাদিঘিতে রেল ব্রিজের কাজ শুরু করেছিল রেল দফতর। তবে তাতে গ্রামবাসী বাধা দিতেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক (রাজ্য সরকার-রেল-বিক্ষোভকারী গ্রামবাসী) হয়। সেই বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান পর এই কাজ শুরু করে রেল। মূলত, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের ৮২.৪৭ কিলোমিটারের মধ্য মাত্র ৬০০ মিটারের কাজ হচ্ছিল না কিছুতেই। ভাবাদিঘি জটেই আটকে ছিল ওই কাজ। বারবার বাধা আসছিল প্রোজেক্টে। বৈঠকের পর সেই কাজও শুরু হয়। কিন্তু ফের শুরু হল গণ্ডগোল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁরা যে দাবি করেছিলেন তা মানেনি রেল। তাই ফের বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।

মঙ্গলবার দুপুরে তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের ভাবাদিঘিতে হঠাৎই পরিদর্শনে আসেন রেলের আধিকারিকরা। রেলের সরকারি আধিকারিকদের এলাকায় দেখেই আন্দোলনকারীরা হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। রেল ও রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করেনি। এ দিন পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সংশ্লিষ্ট পোস্টারে লেখা ছিল, “টাকা চাই না পয়সা চাই না,আমরা নয়কো লোভী,শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা বাঁচাবো দিঘি।

এ দিন শুধু বিক্ষোভ নয়, এবার জুডিশিয়াল কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ভাবাদিঘির আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, মঙ্গলবার ভাবাদিঘিতে রেলের আধিকারিকরা যে পর্যবেক্ষণ করবেন সে কথাও আন্দোলনকারীদের জানানো হয়নি।এরপরই গ্রামের পুরুষ মহিলা একযোগে হাতে পোস্টার নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। তবে রেলের কোনও আধিকারীকে ক্যামেরার সামনে এই নিয়ে মুখ খোলেননি।

গ্রামবাসী দিলীপ পণ্ডিত বলেন, “রেলের লোকজন এসেছে। মাটির পরীক্ষা করতে এসেছিলেন। অবাক হচ্ছি, আমাদের জলাশয়, আমাদের পুকুরে রেললাইন হবে অথচ আমাদের সঙ্গেই বৈঠক করছে না।” ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সম্পাদক সুকুমার রায় বলেন, “রেলের আধিকারিকরা এসেছেন। আমরা বললাম, আমরা রেলকে সাহায্য করি। তবে রেল এবং রাজ্য সরকার বৈঠকে যা আলোচনা করেছে তার এক শতাংশও পূরণ হয়নি। আমাদের দাবি যেন পূরণ হয়। বুঝতেই পারছি না কেন ফাঁকা মাঠ থাকার পরও দিঘির উপর দিয়ে ৬০০ কোটি টাকা খরচ করে রেললাইন তৈরির পরিকল্পনা করছে।

ভবাদিঘি নিয়ে গ্রামবাসীদের কী দাবি?

ভবাদিঘি নিয়ে এলাকাবাসীর প্রধান দাবি হল, জলাশয় বাঁচিয়ে রেখে রেলপথ তৈরি করা হোক। তাঁরা দিঘিটিকে তাঁদের জীবিকা ও পানীয় জলের উৎস হিসেবে মনে করে। তাই দিঘি ভরাট করে রেলপথ নির্মাণের বিরোধিতা করছেন তাঁরা। 
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প চালু হলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সঙ্গে হাওড়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। ইতিমধ্যেই ভাবাদিঘির ৬০০ মিটার বাদ দিয়ে গোঘাট ও কামারপুকুর পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তারকেশ্বর থেকে গোঘাট পর্যন্ত ট্রেন চলছে ও অন্যদিকে বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত রেলের সিআরএস হয়ে গিয়েছে। কামারপুকুর ও জয়রামবাটির মধ্যে রেললাইনের কাজ জোরকদমে চলছে। তৈরি হয়ে গিয়েছে কামারপুকুর রেল স্টেশনও। কাজ আটকে শুধু এই ভবাদিঘিরই।