Rishra: TMC-র লোগো দেওয়া প্যাডে চিঠি লিখে টাকা চাওয়ার অভিযোগ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

Ashique Insan | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 18, 2024 | 11:36 PM

Hooghly: রিষড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খান। সম্প্রতি, সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তাঁর নাম লেখা এই চিঠি। সেই চিঠিটি লেখা হয়েছে রিষড়ার একটি টেক্সটাইল কারখানার ভাইস প্রেসিডেন্টকে। ঈদ উপলক্ষে দশ হাজার টাকা চাওয়া হয় কাপড় কেনার জন্য। চিঠির নিচে রিষড়ার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খানের সই ও স্টাম্প দেওয়া রয়েছে।

Rishra: TMC-র লোগো দেওয়া প্যাডে চিঠি লিখে টাকা চাওয়ার অভিযোগ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
ভাউরাল পুরনো চিঠি
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

রিষড়া: তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো দেওয়া প্যাড। সেই প্যাডে লিখে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খানের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের সেই চিঠি ভাইরাল হতেই নতুন করে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। জাহিদ যদিও এই কাজের জন্য বিরোধীদের দায়ী করেননি। তাঁর অনুমান তৃণমূলেরই লোকজন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।

রিষড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খান। সম্প্রতি, সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তাঁর নাম লেখা এই চিঠি। সেই চিঠিটি লেখা হয়েছে রিষড়ার একটি টেক্সটাইল কারখানার ভাইস প্রেসিডেন্টকে। ঈদ উপলক্ষে দশ হাজার টাকা চাওয়া হয় কাপড় কেনার জন্য। চিঠির নিচে রিষড়ার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খানের সই ও স্টাম্প দেওয়া রয়েছে।

জাহিদ হাসান খান বলেন, “আমি দলের কোন প্যাড ব্যবহার করি না। কোনও ডোনেশনও তুলি না। নিজের যা ক্ষমতা সেটা দিয়েই করি। এক কাউন্সিলর লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই ওয়ার্ড থেকে হারানোর চেষ্টা করেছে । ওই ওয়ার্ডের দায়িত্ব আমার ছিল। আমি সেখান থেকে লিড দিয়েছি। দলের লোক কিন্তু বিজেপি তৃণমূলের সাথে মিশে রিষড়া তৃণমূলের ক্ষতি করছে।এসব ফেক লেটার প্যাড। ওই কাউন্সিলর আমার বিরোধী এটা সবাই জানে। দলে ওর কোনও জায়গা নেই। তাই এসব করে আমার প্রচারে আসতে চায়।”

বস্তুত, আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। তার সঙ্গে জাহিদ হাসান খানের বিরোধ সর্বজনবিদিত। নাম না করে জাহিদ হাসান সাকির আলির দিকে ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

যদিও, সাকির এই প্রসঙ্গে বলেন, “এটা দলীয় তদন্তের বিষয়। কে কোথায় কারখানায় প্যাড পাঠিয়েছে এটা আমি জানি না। এটা দলের তদন্তের বিষয়। দল যদি সঠিক তদন্ত করে দলের প্যাড কেন ব্যবহার করা হয়েছে সেটা নিশ্চয়ই ধরা পড়বে। আমার এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।”

বিজেপির রাজ্য অফিস সম্পাদক প্রণয় রায় বলেন, “যে চিঠি ভাইরাল হয়েছে সেটা আমার নজরেও পড়েছে।তৃণমূল সরকারি পদ সরকারি স্ট্যাম্প ব্যবহার করে তোলাবাজি করছে। ভাইস চেয়ারম্যান যদি লেটার হেডে লিখে তার স্ট্যাম্প দিয়ে কারখানার কাছে টাকা চায়, তার কাছে আর কোনও বিকল্প থাকে না মালিকের কাছে।এটা তৃণমূলের সরকারি তোলাবাজি।”

তৃণমূল হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, “জাহিদ হাসান খান গত ত্রিশ বছরের কাউন্সিলর। তাঁকে বদনাম করে দলকে বদনাম করার এটা বিজেপির চক্রান্ত। ওরা ভোটে জিততে পারছে না, জেতা সে তো হেরেছে। তাই যেন তেনো প্রকারে বদনাম করার জন্যই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”

Next Article