বৈঁচি : দোকানে ঢুকে দেখতে চাইছিলেন বাচ্চাদের সোনার আংটি (Gold Ring)। ক্রেতার দাবি মতো একাধিক সোনার আংটির ডিজাইনও দেখাতে থাকেন দোকানের কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত ওই ক্রেতা ২৮০০ টাকা দামের একটি আংটি পছন্দ করেন। জমা রাখেন ৫০০ টাকা। বলেন বাকি টাকা নিয়ে তিনি শীঘ্রই ফিরে আসছেন। ফিরে আসেন। এবার দেখতে চান কানের দুল। তবে ততক্ষণে তাঁর রূপ সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। হাতে উঠেছে বন্দুক। বন্দুক হাতে দোকানে ঢুকে লাগাতার হুমকি দিতে থাকেন। বাংলা ও হিন্দি দুই ভাষাতেই দিতে থাকেন হুমকি। তাঁর রণংদেহি মূর্তি দেখে প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান দোকানের কর্মীরা। তাঁদের ভয় দেখিয়ে শেষে বেশ কয়েকটি সোনার হার নিয়ে চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পান্ডুয়ার বৈঁচিতে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে পান্ডুয়া থানার বৈঁচিতে শুট আউটের ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই ফের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে লুঠের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বৈঁচি দাঁ মার্কেটে ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে আসে এক দুষ্কৃতী। দোকানদার নিতাই পাত্রকে সাত বছরের বাচ্চার জন্য আড়াই হাজার টাকা দামের সোনার আংটি দেখাতে বলে। ২৮০০ টাকা দামের একটি আংটি পছন্দ করে ৫০০ টাকা জমা রেখে বাকি টাকা নিয়ে আসছে বলে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘুরে এসে ফের কানের দুল দেখতে চায়।তারপরেই কোমর থেকে বন্দুক দেখিয়ে বলে হুমকি দিতে থাকে। বন্দুক ঠেকিয়ে বেশ কয়েকটি সোনার হার নিয়ে চম্পট দেয়। যার আনুমানিক মূল্য আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। তবে তার সঙ্গে আর কোনও ব্যক্তি ছিল না বলে জানা যাচ্ছে।
প্রকাশ্য দিবালোকে ভরা বাজারে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী সকলেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আতঙ্ক দানা বেঁধেছে এলাকার ব্যবসায়ীদের মনে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পান্ডুয়া থানার পুলিশ। যে দোকানে এ কাণ্ড ঘটেছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের।
ঘটনা প্রসঙ্গে দোকানের মালিক নিতাই পাত্র বলেন, “দোকানে ঢুকে আংটি দেখতে চাইছিল। বলল বাচ্চাদের আংটি দেখাতে। আমরা দেখাই। একটা আংটি পছন্দ করে। ৫০০ টাকা জমা রেখে বেরিয়ে যায়। তারপর এসে কানের দুল দেখতে চায়। আচমকা একটা রিভলবার বের করে আমার মাথায় ঠেকায়। বলে একদম চালাকি করবেন না। বন্দুক দেখে ভয়ে আমি আর চেঁচিয়ে কাউকে ডাকতে পারিনি। সেই সুযোগে ৫ পিস হার নিয়ে পালিয়ে যায়। ওজন প্রায় ৫০ গ্রামের কাছাকাছি।”