চুঁচুড়া: নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চাকরির পরীক্ষার একাধিক অ্যাডমিট কার্ড এবং চাকরির সুপারিশ পত্রও উদ্ধার হয়েছে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে। এর পাশাপাশি সামনে এসেছে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির তালিকা। বিলাসবহুল রিসর্ট থেকে অত্যাধুনিক ধাবা। এ ছাড়াও নামে, বেনামে একাধিক সম্পত্তি। অল্প সময়ের মধ্যে শান্তনুর এই বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি অবাক হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। শান্তনুর আরও এক সম্পত্তির খোঁজ মিলল চুঁচুড়ায়। সেখানে এই দুর্নীতির টাকা প্রোমোটিংয়ে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এ জন্য একটি দোতলা বাড়ি ও জমি কেনার এগ্রিমেন্টও শান্তনু করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ৭০ লক্ষ টাকার এগ্রিমেন্ট হয়েছিল বলে দাবি ওই বাড়ির মালিকের।
শান্তনুর আরও এক সম্পত্তির খোঁজ মিলল চুঁচুড়ায়। হুগলি জেলার চুঁচুড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ময়ূরপঙ্খী ঘাটের কাছে ফ্ল্যাট বানানোর পরিকল্পনা শান্তনুর ছিল বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের শেষ দিকে ফ্ল্যাট তৈরি করার জন্য একটি জমি ও একটি দোতলা বাড়ি কিনেছিলেন শান্তনু। ৭০ লাখ টাকায় এগ্রিমেন্ট হয়েছিল বাড়ি মালিকের সঙ্গে। ওই বাড়ির মালিক সঞ্জয় বসু রায় জানিয়েছেন, তিন বছরে ৭০ লক্ষ টাকা পেমেন্টের চুক্তি হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। এর মধ্যে ১৫ লক্ষ টাকা শান্তনু দিয়েছিলেন বলে দাবি। সঞ্জয়ের বাড়ির পাশেই রয়েছে পৌনে ২ কাঠার একটি জমি। বাড়ির পাশাপাশি সেই জমিও কেনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ১৪ লক্ষ টাকায় ওই জমি শান্তনুকে বিক্রি করেছিলেন সঞ্জয় নামের ওই ব্যক্তি। জমি বাড়ির রেজিস্ট্রি হয়ে গেলেও ফ্ল্যাট তৈরির কাজ শুরু হয়নি। শান্তনু ছেলের সংস্থার নামে এই দুই সম্পত্তি বলে জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে সঞ্জয় বসু রায় বলেছেন, “আমার সঙ্গে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছিল। প্রোমোটিং করার কথা বলেছিলেন। ৭০ লক্ষ টাকায় কেনার চুক্তি হয়েছিল। ১৫ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম কবে কাজ শুরু হবে। তিনি বলতেন, সময় পেলেই কাজ শুরু হবে।”