ধনিয়াখালি: টিউশানি পড়ানোর নাম করে কিছুদিন আগে শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে বাঁকুড়ায়। এরইমধ্যে আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উস্তিতে স্কুলের একাধিক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতন (Physical Harassment) করার অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। লজেন্স খাওয়ানোর নাম করে চলত অপকর্ম। কার্যত একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল হুগলির (Hooghly) ধনিয়াখালিতে। আদর করার নামে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর বুকে হাত, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নির্যাতনের (Physical Abuse) অভিযোগে কাঠগড়ায় একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ম্যানেজার।
সূত্রের খবর, প্রতিদিন নিয়ম মেনে স্কুলে গেলেও আজ স্কুলে যেতে চায়নি ওই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বাড়িতে জানায় শরীর খারাপ। কী হয়েছে জিজ্ঞেস করাতেই পরিবারের সদস্যদের কাছে সব খুলে বলে নির্যাতিতা। স্কুলের ম্যানেজার তার উপর দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নির্যাতন করে চলেছে বলে বাড়ির লোকেদের বলে ওই ছাত্রী। নাবালিকার বয়স ৮ বছর। এদিকে বাড়ির মেয়ের মুখে সব শুনে চোখ কপালে ওঠে সকলের। মেয়েকে নিয়ে ছুটে যান স্কুলে। প্রতিকার চান। এদিকে স্কুলের সর্বময় কর্তা হিসাবে এলাকায় পরিচিতি রয়েছে ওই ম্যানেজারের। স্কুলের মালিক সব জানার পরেও হালকা করে সব মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন বলে জানাচ্ছেন নির্যাতিতার ঠাকুমা। এরপরই তাঁরা ধনিয়াখালি থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজ করেছে পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার ঠাকুমা বলেন, “সকালে যখন ওকে স্কুলে পাঠাচ্ছিলাম তখন ও স্কুলে যেতে রাজি হচ্ছিল না। ও তখন আমাকে বলে বুকে খুব ব্যাথা করছে। আমি জিজ্ঞেস করি কিছু হয়েছে কিনা। তখন ও জানায় স্কুলের ম্যানেজার ওকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে ওঠার পর থেকে প্রায়শই এ ঘটনা ঘটেছে। আদর করছি বলে প্রায়ই আমার নাতনির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিত। ওর মুখে সব শোনার পর আজ আমরা স্কুলে যাই। স্কুলের মালিকের কাছে সব জানাই। আমাদের হালকা করে সব মিটিয়ে নিতে বলেন। ধনিয়াখালি থানায় অভিযোগ জানাই। আমরা চাই ওই ব্যক্তি উপযুক্ত শাস্তি পাক।”