গোঘাট: হাতির তাণ্ডব (Elephant Attack) আরামবাগ ও সংলগ্ন এলাকায়। সকাল থেকে দাপিয়ে বেরাচ্ছে বুনো হাতি। আর তার জেরেই আরামবাগ সংলগ্ন গোঘাটে কার্ফু জারি (Curfew Imposed in Goghat) করল প্রশাসন। আগামিকাল (রবিবার) বিকেল ৪টে পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে এলাকায়। পঞ্চায়েতের তরফে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোন। ইতিমধ্য়েই গোঘাটের কুমুড়শা গ্রামে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই আরামবাগ ও সংলগ্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় বুনো হাতি। প্রথমে দলছুট দুটি হাতি আরামবাগের কালিপুর এলাকায় ঢুকে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ দাপাদাপি চালায় সেখানে। সেখানে আলু চাষের জমি ও সবজির বাগানে দাপিয়ে বেড়ায় হাতি।
দলছুট ওই দুটি হাতিকে জঙ্গলে ফেরাতে আরামবাগের কালিপুরে এসে হাজির হয় হুলা পার্টি। কালিপুর থেকে যখন দু’টি হাতিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন হুলা পার্টির লোকজন, সেই সময় মাঠের মধ্যে একজন স্থানীয় মানুষ পড়ে যান। হাতির হামলায় গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তিও। মিলন ফটিক নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি আরামবাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁকেও আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এরপর একটি হাতি দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে ঢুকে পড়ে আরামবাগ শহরে। সেখানে পুরাতন সব্জি বাজারে এদিক ওদিক ঘুরতে শুরু করে।
বন দফতরের কর্মীরা ওই হাতিটিকে শহর থেকে নিরাপদ জায়গায় সরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও কাজ হয় না। এদিকে হাতি দেখতে উৎসুক মানুষজন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করলে আবারও একজন আহত হয় হাতির আক্রমণে। তারপর গোঘাটের দিকে চলে আসে হাতিটি। আর এরপরই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আরামবাগ মহকুমাশাসক গোঘাট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে মাইকিং শুরু করা হয়। কেউ হঠাৎ হাতির মুখোমুখি হলে, যাতে হাতিটিকে উত্যক্ত না করা হয়, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আরামবাগ বন দফতরের এক আধিকারিক আশরাফুল ইসলাম হাতির তাণ্ডব সম্পর্কে এদিন দুপুরে জানিয়েছেন, হাতিগুলি সম্ভবত পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে দলছুট হয়ে এদিকে চলে এসেছে।