Serampore: একে-অপরের সঙ্গে মিশে যাওয়া চারটে শরীর, বইছে রক্তগঙ্গা! ভোটের মুখে শ্রীরামপুরের ঘটনায় বয়ে গেল হিমস্রোত
Serampore: শ্রীরামপুরের দিক থেকে কোন্নগরের দিকে যাচ্ছিল টোটোটি। পিছন থেকে একটি লরি এসে ধাক্কা মারে। সামনে দাঁড়িয়ে ছিল আরেকটি লরি। দুটো লরির মাঝে রীতিমতো পিষে গুঁড়িয়ে যায় টোটোটি।
হুগলি: ভেঙে গুড়িয়ে যাওয়া একটা টোটো। তার মধ্যে দলা পাকিয়ে গিয়েছে চার-চারটে শরীর। রক্তে ভাসছে রাস্তা। একটা শরীর এমন ভাবেই থেঁতলে গিয়েছে, যে টোটোর সঙ্গে কার্যত মিশে গিয়েছে। সাতসকালে ভয়ঙ্কর দৃশ্যে শিউরে উঠেছে গোটা এলাকা। সকালে টোটোয় চেপে কাজে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পিছনের সিটে বসে ছিলেন চার জন। পিছন থেকে একটি দ্রুত গতিতে আসা লরি পিষে দেয় টোটোটিকে। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি দিল্লি রোডে। এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু খবর আসছে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। দিল্লি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুরের দিক থেকে কোন্নগরের দিকে যাচ্ছিল টোটোটি। পিছন থেকে একটি লরি এসে ধাক্কা মারে। সামনে দাঁড়িয়ে ছিল আরেকটি লরি। দুটো লরির মাঝে রীতিমতো পিষে গুঁড়িয়ে যায় টোটোটি।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই টোটোর মধ্যেই পিষে যায় চার জনের শরীর। দৃশ্য দেখে ছুটে আসেন রাস্তার ধারের দোকানিরা, স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধার করার আগেই সব শেষ। এরপরই ক্ষেপে ওঠেন এলাকার মানুষ। ঘাতক লরি সহ কয়েকটি লরি ভাঙচুর চালাতে থাকেন তাঁরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দিল্লি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাইওয়েতে যান নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নেই। বেপরোয়া গতির জন্যই এই দুর্ঘটনা। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ডানকুনির দিকে যে রাস্তা যাচ্ছে, তাতে পরপর দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। রাতে পুলিশ এসে তোলা তোলে। এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। তখন পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল এখানে ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু সেটা হল কই? ভোটের আগে এই ইস্যু আমরাও তুলি। সবাই দেখে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তারপর আর কী!” যাত্রীদের দেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হবে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ।