গোঘাট: সাপের ডেরায় বাগদেবীর আরাধনা খুদে পড়ুয়াদের। যার জেরে আতঙ্কিত অভিভাবকরা। বিদ্যালয় ভবনে সাপের খোলসের পাশেই চলছে খিচুড়ি রান্না। ভগ্ন বিদ্যালয়ের দুয়ারে বসেই পুষ্পাঞ্জলি দিচ্ছে পড়ুয়ারা। এমনই চিত্র উঠে এল টিভি৯ বাংলার ক্যামেরায়।
হুগলির গোঘাটের দেওয়ানচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ১৬ জন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা ৩ জন। সরস্বতী দেবীর আরাধনা চলছে ভাঙাচোরা বিদ্যালয়ে। সেই বিদ্যালয়ে বিষধর সাপের বাসস্থান। দেওয়ানচক এলাকাটি বন্যায় প্রায় ৬ মাস জলে ডুবে থাকে। ভাঙাচোরা বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাব থাকায় শিক্ষক কক্ষেই প্রি-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি ক্লাস হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভাঙাচোড়া বিদ্যালয় থেকে বিষধর সাপ বের হয়। তাই তারা বিদ্যালয়ের ছাত্রদের পাঠাতেও ভয় করেন। সরস্বতী পুজোর দিন অভিভাবকরা সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তাঁদের শিশুদের। ভাঙাচোরা বিদ্যালয়ের দুয়ারে বসেই ছাত্র-ছাত্রীরা বাগদেবীর পুষ্পাঞ্জলি দিচ্ছে । অভিভাবকদের দাবি, ছাত্রছাত্রীরাও বিদ্যালয়ে সাপ বেরতে দেখেতে পেয়েছে। তাই তাঁরাও ভয়ে থাকেন। আর দেওয়ালে সাপের খোলসের ছবি ধরা পড়েছে। সেখানেই চলছে খিচুড়ি রান্না। আর সেই খিচুড়ি দেওয়া হবে এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের।
যদিও, এই নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারাও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি টিভি৯ বাংলার ক্যামেরায়। যদিও এই বিষয়ে, গোঘাট ১ নম্বর বিডিও শুরশ্রী পাল এই প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে খোঁজখবর নেবেন বলে জানিয়েছেন।