Drinking Water: এই বোতলের জলই কিনে খান? কোথা থেকে আসছে, জানতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ

Ashique Insan | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 28, 2024 | 2:37 PM

Drinking Water: এক জল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এদিন থেকে বছর চারেক আগে প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ করে তিনি এই জলের প্লান্ট বসিয়েছিলেন বাড়িতে। মাটি থেকে জল উত্তোলন করে সেই জলকে বোতলে ভরে বাজারে পাঠানো হচ্ছিল।

Drinking Water: এই বোতলের জলই কিনে খান? কোথা থেকে আসছে, জানতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ
পানীয় জল
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কোন্নগর: মাটির তলা থেকে সরাসরি জল তুলে নামি কোম্পানির বোতলে ভরে বিক্রি করা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার পুরসভার নলবাহিত জল জমিয়ে রেখে বোতলে ভরে বিক্রি করছিলেন। ভূগর্ভস্থ জল নিয়ে এভাবে ব্যবসা চলছে বলে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। লাইন কেটে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তবে তার মধ্যেও অবৈধভাবে চলছে জলের ব্যবসা। বলা ভাল ‘জল চুরি’।

এবার এরকমই অবৈধ জলের ব্যবসায়ীদের ধরলেন কোন্নগরের পুরপ্রধান স্বপন দাস। অবৈধভাবে জল ব্যবহার করে তা বিক্রি করা হচ্ছে, অসাধু উপায়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ী, উঠছে এমনই অভিযোগ। পুরসভার কাছে এই ব্যাপারে খবর ছিল। শনিবার সকালে জল চুরি রুখতে কোন্নগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা আর এন টেগর রোডে পৌঁছে যান পুরপ্রধান স্বপন দাস। সেখানে গিয়ে অবৈধভাবে জল কারবারীদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর করা হবে বলে জানান।

চেয়ারম্যান জানান, শহরে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছনোর জন্য একাধিক কাজ শুরু করেছে পুরসভা। তারপরেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পৌঁছচ্ছে না লোকের বাড়িতে। সেই খোঁজ নিতে গিয়েই জানা যায়, এরকম অনেকে রয়েছেন যাঁরা নিজেদের বাড়িতে বোরিং মেশিন বসিয়ে মাটির তলা থেকে অবৈধভাবে জল তুলে নিচ্ছেন। তাঁরা কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

আবার অনেকে রয়েছে যারা পুরসভার জলকেই স্টোর করে তা বোতলে ভরে বিক্রি করছেন। এটা খতিয়ে দেখতে গিয়ে একেবারে চক্ষুচড়ক পুরপ্রধানের। যা ধরা পড়ে, তা অভাবনীয়। এক একদিনে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার লিটার জল তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কোনওরকম বিশেষ প্রক্রিয়াকরণ ছাড়াই সেই জলকে বোতলে ভরে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে কম দামে। একদিকে সেই জল কতটা মানুষের শরীরের উপযোগী তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।

এক জল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এদিন থেকে বছর চারেক আগে প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ করে তিনি এই জলের প্লান্ট বসিয়েছিলেন বাড়িতে। মাটি থেকে জল উত্তোলন করে সেই জলকে বোতলে ভরে বাজারে পাঠানো হচ্ছিল। মাত্র ১০ টাকায় জল দেওয়া হচ্ছিল জল। কম টাকায় জল দেওয়ার কারণে জলের চাহিদাও ছিল বেশি।

চেয়ারম্যান যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন তখন টনক নড়ে তাঁদের। তাঁদের জল কোথায় টেস্ট হয়, সে কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান শ্রীরামপুরে কোনও এক কেমিস্ট রয়েছেন, যিনি এই জল পরীক্ষা করে দেন। জল চুরি রুখতে এভাবেই আগামিদিনে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন কোন্নগর পুরসভার পুর প্রধান।

Next Article
Chinsurah: যমালয়ের নয়, চুঁচুড়া কাঁপাচ্ছে মর্ত্যের জীবন্ত ‘ভোলা’! কী করছে প্রশাসন? তীব্রে আতঙ্কে প্রশ্ন স্থানীয়দের