খানাকুল: জল…জল…আর জল! যে দিকে তাকানো যায় সেই দিকেই শুধু জল। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে হুগলির খানাকুল, আরামবাগ সহ একাধিক জায়গা ভরে রয়েছে জলে। ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন এলাকাবাসী। এবার খাবার নিয়ে এসে গ্রামে-গ্রামে ঘুরলেন আরামবাগের সাংসদ মিতালী বাগ। ‘খাবার নেবে গো…খাবার’, এই ভাবেই ত্রাণ দিলেন তিনি। পাল্টা গ্রামে যেতেই রব উঠল ‘বন্যা হল কার দায়ে, সরকার জবাব চাই।’ সঙ্গে এলাকাবাসীও বললেন, “এই তো খাবার দিয়েছে। এতদিন পর দিয়ে গেল…এর আগে একদিনও পাইনি”
এ দিন, নৌকা ভর্তি করে চিড়ে, গুড়, মুড়ি, বিস্কুট, বেবিফুড ও পানীয় জলের পাউচ নিয়ে খানাকুলের মাইনান,শঙ্করপুর,পোল ১ সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে জল পেরিয়ে ঘুরেছেন আরামবাগের সাংসদ। দেওয়া হয়েছে খিচুড়ি ডিম সেদ্ধও। কোথাও গোটা বাড়ি ডুবে গিয়েছে। কোথাও আবার একতলা। তো কোথাও বুক সমান বন্যার জল। কোথাও মাটির বাড়ি ধসে পড়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ত্রাণ বিলি করে চলেছেন আরামবাগের সাংসদ। তবে গ্রামের মানুষের একাংশের অভিযোগ তাঁরা ত্রাণ পাচ্ছেন না। সরকারি ত্রাণ এসে পৌঁছয়নি তাঁদের কাছে। একই প্রসঙ্গ তুলেছেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। তিনি বললেন, “এখন পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ নেই। ত্রিপল এসেছে,কিন্তু পর্যাপ্ত নয়। পাশাপাশি তাঁর দাবি, শক্তপোক্ত বাঁধ না থাকার জন্যই এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আবার জানিয়েছেন, “এই এলাকার যা পরিবেশ তাতে সব জায়গায় পৌঁছানোটা খুবই দুষ্কর”। তবে ত্রাণ যে আসছে তা জানিয়েছেন তিনি।
এ দিকে,খানাকুলে মিতালী যখন ত্রাণ বিলিতে ব্যস্ত, সেই সময় একদল যুবক আবার স্লোগান দিলেন সরকারের বিরুদ্ধে। ফলত, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত তা বলাই যায়। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য,খানাকুলের রাজ্য সড়ক থেকে জল নেমে গিয়েছে। কিন্তু প্রধান রাস্তার দুই দিকে এখনো কোথাও হাঁটু সমান জল। এলাকার মানুষজনের দাবি এই জল খানাকুল থেকে বেরিয়ে যেতে এখনো সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। বানভাসি এক মহিলা বলেন, “এই প্রথম ত্রাণ দিয়ে গেল। খাবারে দিয়েছে ডিম সেদ্ধ আর খিচুড়ি। এত দিন হয়ে গেল একদিনও আসেনি।