বাঁশবেড়িয়া: একবার নয় একাধিকবার আগুন লেগেছে হুগলির (Hooghly) ত্রিবেণীর কালিতলা ব্রিজের পাশের ঝুপড়িতে থাকা বাসিন্দাদের বাড়িতে। মূলত, প্ল্যাস্টিকের ফেলে দেওয়া সামগ্রী কুড়িয়েই এই সব মানুষগুলোর জীবন কাটে। মঙ্গলবার সেই সকল সামগ্রী জেসিবি নিয়ে উচ্ছেদ করতে এল পুরসভা। তখনই বাধা দেন এলাকাবাসী। যদিও, বাধার জেরে খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁদের।
গত ২০শে ডিসেম্বর হঠাৎই বড়সড় আগুন লাগে এই ঝুপড়িতে। যার জেরে গুরুত্বপূর্ণ এসটিকেকে রোড কালিতলা ব্রিজ বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। ঝুপড়িতে অনেক দাহ্য সামগ্রী মজুত থাকায় আগুন থেকে যে কোনও মুহূর্তে বড় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল আবারও আগুন লাগে ব্রিজের পাশে। যদিও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী। এরপরেই নড়েচড়ে বসে মগড়া থানার পুলিশ ও বাঁশবেড়িয়া পুর প্রশাসন।
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে নবাব পল্লি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাস করছে মুর্শিদাবাদ থেকে আসা বহু মানুষ। তাঁরাই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। আজ মগড়া থানার পুলিশ ও বাঁশবেড়িয়া পুরসভার পুরপ্রধান এলাকায় যান। পুলিশ ও পুরসভা মিলে ওই প্লাস্টিক সামগ্রী জেসিবি মেসিন দিয়ে তুলে অন্যত্র সরিয়ে নিতে গেলে ঝুপড়িবাসী বাধা দেয়। শুরু হয় বাকবিতন্ডা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের উচ্ছেদ করতে চাইছে পুরসভা। তাঁরা বহু বছর ধরে এখানে বাস করছেন। এখন উচ্ছেদ করলে কোথায় যাবেন। যদিও পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগী বলেন, তাঁরা শুধুমাত্র ফেলে দেওয়া সামগ্রী যা জড়ো করা আছে তা সরিয়ে দিতে এসেছিলেন। এখানের যাঁরা মাতব্বর রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে বসে মিটিং করা হয়েছে। তারপরেই সরানো হচ্ছে। উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। রাস্তা উপর রাখা প্লাস্টিক বস্তা সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তার জুড়ে এসব ফেলে রাখার ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না।উচ্ছেদ করলে পূর্ত দফতর করবে, কারণ জায়গাটা পূর্তদফতরের।প্লা স্টিকের বোতলের স্তুপ রাস্তা এবং টালির ঘরের উপর রেখে দেওয়া হয়। তাতে আগুন লাগলে বিপর্যয় হবে।
তিনি আরও জানান, পুরসভার সাফাই কর্মিরা আসলে তাদের কাজ করতে দেওয়া হয় না। ড্রেনে অবিক্রিত প্লাস্টিক বোতল ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর বাসিন্দাদের কয়েকদিন সময় দেওয়া হয়েছে সামগ্রী অন্যত্র সরিয়ে ফেলার জন্য।