আরামবাগ: ভাইফোঁটার আনন্দে মেতেছে গোটা বাংলা। কিন্তু তাদের কী হবে? কিছুদিন আগেই যাঁরা বন্যায় সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন?তাঁদের কাছে আজকের উৎসবের সব আনন্দ ফিকে হয়ে যেত যদি না তাঁদের পাশে দাঁড়াতেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
আজকের দিনে বন্যা দুর্গতদের ভাই ফোঁটা দেওয়ার আয়োজন করা হয় আরামবাগে। আরামবাগ পৌরসভার উদ্যোগে অপরুপা পোদ্দার এর উপস্থিতিতে আরামবাগ হেলিপ্যাড সংলগ্ন মাঠে গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল। পৌর প্রশাসক স্বপন নন্দি ছিলেন এর অন্যতম উদ্যোক্তা।
আজ দুপুর নাগাদ বন্যা দুর্গত ভাইদের ফোঁটা দেন অপরূপা। তাঁদের মিষ্টি মুখ করান তিনি। রীতিমতো শঙ্খ ধ্বনি ও উলুধ্বনি দিয়ে ভাইফোঁটার এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন সাংসদ।
আজকের এই বিশেষ দিনটির বিষয়ে অপরুপা পোদ্দার বলেন, “আজকে হিন্দু, মুসলিম সহ সব ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে এই ভাই ফোঁটায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। জাতপাতকে দূরে সরিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে অংশ নেন এখানে। সব থেকে বড় কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মানবিক মহিলা। আমাদের দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে বন্যাকবলিত এলাকার ভাইয়েরা ভাইফোঁটা থেকে বঞ্চিত না হন। তাই ওনার নির্দেশে আজকে আমরা এই ভাইফোঁটার আয়োজন করেছিলাম। ওনারাও খুব খুশি হয়েছেন। এদের সঙ্গে অপরূপা পৌর প্রশাসক স্বপন নন্দী ও প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরাকেও ভাই ফোঁটা দেন তিনি।”
দুর্গাপুজোর সময়ও এমন সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন সাংসদের স্বামী। ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে যে মানবতা সবার উর্ধ্বে, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন শাকির আলি (Sakir Ali)। একদিকে সম্প্রীতির দুর্গাপুজো করে যেমন অনন্য নজির গড়লেন তিনি, ঠিক অন্যদিকে সম্প্রীতির মেল বন্ধনের পুজো করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অপর এক ভিন ধর্মীর মানুষ সেখ হায়দর আলি। এই দুই ভিন ধর্মীর মানুষের দুর্গা পুজো রীতিমত শুধু আরামবাগ মহকুমাতেই নয় গোটা রাজ্যেই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।
শাকির আলি নিজেই পুজো পাঠ করেছেন। পাশাপাশি মন্ত্র উচ্চারণ করে দুর্গাপুজো করেছেন আরামবাগের (Arambag) নিজের বাড়িতে। নবমীতে জাঁক জমক ভাবে নিয়ম মেনে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও নির্ঘণ্ট মেনে বাড়িতেই করেছেন কুমারী পুজো। এই পুজোয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যাবতীয় ভেদাভেদ ভুলে হাতে হাত রেখে মেতেছিলেন শাকিরের বাড়িতে। শুধু তাই নয় কোভিড বিধি মেনে আগত সকল দর্শমার্থীদের মাস্ক দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে স্যানিটাইজ়ারও দিয়েছেন প্রত্যেককে।