Tarkeshwar News: দাদুর ‘লালসার’ শিকার চার বছরের নাতনি? তারকেশ্বর-কাণ্ডে গ্রেফতার বৃদ্ধ
Hooghly Child Tragedy News: নাতনির প্রতি 'লালসা'? এও সম্ভব? এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলছেন একাংশ। অবশ্য দাদুর পরিচয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের পরিবারের সঙ্গে তারকেশ্বর স্টেশনেই থাকত ওই শিশুটি। ওই এলাকায় আরও কয়েকটি পরিবার ছিল।

হুগলি: ভোররাতে তুলে নিয়ে যায় চার বছরের শিশুকন্যাকে। তারপর ‘যৌন নির্যাতন’। তারকেশ্বরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। যুযুধান শাসক-বিরোধী। আর এই আবহেই গ্রেফতার ‘দাদু’। শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার পেশ করা হয়েছিল চন্দনগর মহকুমা আদালতে।
নাতনির প্রতি ‘লালসা’? এও সম্ভব? প্রশ্ন তুলছেন একাংশ। অবশ্য ‘দাদু’র পরিচয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের পরিবারের সঙ্গে তারকেশ্বর স্টেশনেই থাকত শিশুটি। ওই এলাকায় আরও কয়েকটি পরিবার ছিল। এবার ধৃত দাদু শিশু কন্য়ার রক্তের সম্পর্কের নাকি প্রতিবেশী গোত্রীয় তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
কী ঘটেছে?
শনিবার ভোরে মশারি কেটে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। কেউ টের পায়নি। শিশুকন্য়াটি নিজের দিদার সঙ্গেই ছিল। টের পাননি তিনিও। ঘুম ভাঙতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। হন্যি হয়ে খুঁজতে শুরু করেন শিশুকন্য়াকে। কিন্তু হদিশ মেলে না। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ স্থানীয় একটি নিকাশির মধ্যে থেকে চার বছরের শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। এরপর তড়িঘড়ি তাকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার।
অভিযোগ, হাসপাতালে ঠিক করে চিকিৎসা মেলেনি। শিশুর যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, সেটা বলার পরেও গুরুত্ব দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। শিশুকন্যার দিদার দাবি, ‘থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা চুপ থাকতে বলেছে। থানার বড় বাবু বললেন, ধর্ষণের কথা কাউকে বলবেন না।’ এরপর তারকেশ্বরে জুড়ে তৈরি হয় রাজনৈতিক কলহ। অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়ে গেরুয়া শিবির। রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় টেনে এনে একের পর এক তোপ দাগেন বিজেপি নেতারা।
নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে একটি পোস্ট করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বিভীষিকাময় পৈশাচিকতার রাজত্বে চার বছরের শিশুকন্যাও সুরক্ষিত নয়! এ কোন বীভৎসতার পশ্চিমবঙ্গ? যেখানে ঘুমন্ত একটি দুধের শিশুকেও অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়?’ তবে এই ঘটনার দায় রেলপুলিশের দিকেই ঠেলে দিয়েছেন তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়। এদিন তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। দোষীদের সাজা হোক। কিন্তু যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, তা রেলপুলিশের অধীনস্থ। রেল পুলিশের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলে আমার মনে হয়।’
