হুগলি: খুব শখ ছিল মাকে নতুন একটা ফোন উপহার দেবে ছেলে। সেই মতো অনলাইন শপিং সাইট ফ্লিপকার্টে অর্ডার দিয়েছিলেন পোলবার সঞ্জয় মণ্ডল। বারবার ট্র্যাক করছিলেন, কবে হাতে আসবে, চমকে দেবেন মাকে। কিন্তু মাকে চমকে দেওয়ার বদলে তিনি নিজেই যে হতভম্ব হয়ে যাবেন, ভাবতেই পারেননি। হুগলির পোলবার শঙ্করবাটির বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ অনলাইন এই শপিং প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি কিপ্যাড মোবাইল অর্ডার করেছিলেন। ১০ এপ্রিল এক ডেলিভারি বয় এসে তাঁর হাতে সুন্দর একটি বাক্স তুলে দেন। ক্যাশ অন ডেলিভারি ছিল। টাকা দিয়ে বাক্স খুলতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁর। অভিযোগ, দেখেন মোবাইলের বদলে সেখানে ফেসওয়াশের চারটি টিউব রাখা।
সঞ্জয় মণ্ডল জানান, অনেক সময় প্রতারণার অভিযোগ ওঠে বলে তিনি বাক্সটি খোলার সময় থেকেই ভিডিয়ো করছিলেন। অ্যানড্রয়েড ফোনের বদলে ফেসওয়াশের চারটে টিউব দেখে তিনি কার্যত থতমত হয়ে যান। এরপর নিজেকে সামলে যোগাযোগ করেন ওই সংস্থার হেল্পলাইন নম্বরে। প্রথমে ওই সংস্থা কোনওরকম সহযোগিতা করতে চাননি বলেই অভিযোগ। প্রায় এক মাস ঘুরতে হয় তাঁকে।
সঞ্জয়ের দাবি, বুধবার ওই অনলাইন শপিং সাইটের তরফে ফোনে জানায়, এই টাকা ফেরত পেতে গেলে ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই তা ফেরত নিতে হবে। এদিকে একবার ঠকে আর কিছুতেই ভরসা পাচ্ছেন না পোলবার ওই যুবক। সঞ্জয় জানান, এর আগে একাধিক জিনিস তিনি আনলাইনে কিনেছেন। টিভি থেকে মিক্সার, অনলাইনেই কেনা। এমন পরিস্থিতি কখনও হয়নি। যদিও এ নিয়ে সংস্থার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “কাস্টমার কেয়ার থেকে কোনও সাহায্য পাইনি। প্রথমে বলল ১১ মে টাকা পাব। আমার কাছে অ্যাকাউন্ট চাইছে। কে চাইছে, আদৌ আসল সংস্থা কি না তাও তো বুঝতে পারছি না। আগে টিভি, মোবাইল, মিক্সার কিনেছি। এরকম কখনও হয়নি। আমি ভিডিয়ো প্রমাণ হিসাবে রেখে দিয়েছি। তবুও কিছু হচ্ছে না।”