হুগলি: ৩ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করে গিয়েছেন যে রেলের উড়ালপুলের, সপ্তাহ ঘুরতেই ফের তা উদ্বোধন করল ভারতীয় রেল। মুখ্যমন্ত্রীর সেই অনুষ্ঠানে রেলের কর্তারা ডাক পাননি বলে অভিযোগ। এরপরই ঘোষণা করা হয় ভার্চুয়ালি রেলমন্ত্রী এই উড়ালপুলের উদ্বোধন করবেন। একইসঙ্গে বিজেপি জানায়, তারা একটি ধন্যবাদ সভার আয়োজন করবে। শুক্রবার তেমনটাই হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এই অনুষ্ঠান থেকেই একের পর এক বাক্যবাণে তৃণমূলকে বেঁধেন বিজেপি নেতারা। সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডুর উড়ালপুল উদ্বোধন নিয়ে রাজনৈতিক তরজাতে এদিন আরও কিছুটা ঘৃতাহুতি দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্নাকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। তারই পাল্টা বেচারামও একহাত নেন লকেটকে।
এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই সরকার বাংলায় চলবে না। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সব জায়গায় দুর্নীতি এদের। এখানকার বিধায়ক বেচারাম মান্না চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন। সব টাকা বাড়ি থেকে বের করার জন্য বাড়ি ঘেরাও করবেন। সবাইকে বলব এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে। ৫০০ টাকা দিয়ে জায়গা নিয়ে নিচ্ছে, জমি নিয়ে নিচ্ছে, মানুষের প্রাণ নিয়ে নিচ্ছে। বিজেপির সরকার থাকলে বুলডোজার দিয়ে উৎখাত করে দেওয়া হবে।”
এরই পাল্টা এদিন বেচারাম মান্না বলেন, “ভার্চুয়ালে সব উদ্বোধন করে ভাবছে মানুষ গদগদ হয়ে যাবে। এসব হবে না। সিঙ্গুরের মানুষ বুঝে গেছে এরা ভাঁওতাবাজ। মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা এদের কাজ। মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করে গিয়েছেন। তাই আজকের এই উদ্বোধনের কোনও যৌক্তিকতাই নেই। উনি যদি প্রমাণ করতে পারেন তাহলেই বুঝব উনি সত্যিকারের বাপের বেটি। এসব ছেদো গল্প মানুষের কাছে ছেড়ে বিভ্রান্ত করতে চাইলে লাভ হবে না। ছোট থেকে সিঙ্গুরের মানুষ আমাকে দেখেছেন। আমি সিঙ্গুরের ভূমিপুত্র। কে কলকাতা থেকে এসে উল্টোপাল্ট বলে গেল, মানুষ তা আমল দেবে না।”