Hoogly: পুরসভার কাজ দেখছিলেন, হঠাৎই পিছন থেকে এসে বন্দুক ঠেকাল… বরাত জোরে রক্ষা পুরকর্মীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 11, 2022 | 10:22 PM

Hoogly News: সঙ্গে সঙ্গে শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাননগর এলাকার ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

Hoogly: পুরসভার কাজ দেখছিলেন, হঠাৎই পিছন থেকে এসে বন্দুক ঠেকাল... বরাত জোরে রক্ষা পুরকর্মীর
অনিল চৌধুরী ওরফে ভোলা।

Follow Us

হুগলি: শ্রীরামপুর পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল। নিকাশি নালা তৈরি হচ্ছিল এলাকায়। তিনি সেই কাজ দেখাশোনা করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন এক দুষ্কৃতী। সঙ্গে ছুরিও ছিল বলে অভিযোগ। আগ্নেয়াস্ত্রে গুলি না থাকায় বরাত জোরে বেঁচে যান ওই পুরকর্মী। এই ঘটনায় যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্রীরামপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে তৈরি হচ্ছিল নিকাশি নালা। সেই কাজ দেখাশোনা করছিলেন পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মী অনিল চৌধুরী ওরফে ভোলা। জানা গিয়েছে, এই পুরকর্মী তৃণমূলেরও সক্রিয় কর্মী। কেন তাঁর উপর এই হামলার ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অভিযোগ, এদিন হঠাৎই অভিযুক্ত যুবক অনিলের সামনে এসে দাঁড়ান। বন্দুকটি বের করতেই অনিল তা ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, এরপরই অভিযুক্ত অনিলকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। অনিলের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্রটি ওয়ান শটার ছিল। তা থেকে গুলি বেরোয়নি। এরপরই ধারাল ছুরি বের করেন অভিযুক্ত। এদিকে অনিলের চিৎকারে ততক্ষণে ভিড় করেন এলাকার লোকজন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালান ওই যুবক।

অনিল চৌধুরী বলেন, “আমি বসে কাজ দেখছিলাম। ওই ছেলেটা একবার বাইক নিয়ে এসে আমাকে দেখে চলে যায়। এরপর হঠাৎই পিছন থেকে এসে পিছনে বন্দুক ধরে। কপাল ভাল ফায়ারটা হয়নি। এরপর আমি যেই ওর বন্দুকটা কেড়ে নিই, আমার গলায় ছুরি মারে। ”

সঙ্গে সঙ্গে শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাননগর এলাকার ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্রটিও। রবিবার সন্ধ্যায় শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা-সহ কাউন্সিলররা শ্রীরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু নাগ বলেন, অভিযুক্ত মদ, গাঁজা বিক্রি করেন। নানা অসামাজিক কাজে যুক্ত। অন্যদিকে এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, রাজ্যে এখন বারুদের স্তূপ। বেআইনি অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। গুলিটা চলেনি। চললে কী হত, সেটা ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়।

Next Article