হুগলি: কালীপুজো মিটতেই এবার সাজছে চন্দননগর (Chandannagar)। আলোয় আলোয় সাজছে ফরাসডাঙা। করোনার কারণে গত দু’বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagadhhatri Puja) নানা বিধিনিষেধ ছিল। বন্ধ ছিল শোভাযাত্রাও। দেখা যায়নি আলোর খেলা। এবার ফের জমজমাট চন্দননগর। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সবরকমভাবে প্রস্তুত থাকছে প্রশাসন। পুলিশ মনে করছে, প্রায় ৫ লক্ষ দর্শনার্থী আসবেন এবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী দেখতে। ভিড় সামলাতে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা করছে চন্দননগর পুলিশ। শুক্রবার চন্দননগর স্ট্রান্ডে জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি।
সাদা পায়রা, বেলুন উড়িয়ে এই রোড ম্যাপের প্রকাশ হয়। পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, এবার প্রায় ৫ লক্ষ দর্শনার্থী আসতে পারেন। ফেরিঘাট, রেল এবং সড়কপথে বহু মানুষ আসবেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। কমিশনারেট ছাড়াও বাইরের জেলা থেকে পুলিশ আনা হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিপি জানান, এসপি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার থাকবেন। এছাড়াও ৫০টি বাইকে চলবে টহল। পঞ্চমী থেকে শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দুপুর ২টো থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী গাড়ি। বন্ধ থাকবে অটো-টোটোর মত গণ পরিবহণ।
তবে দিনেরবেলায় কেমন ভিড় হয় তা দেখেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পুলিশ কমিশনার জানান, বাইরে থেকে যে সমস্ত গাড়ি আসবে তাদের জন্য পয়েন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪৪ টি জায়গায় নো এন্ট্রি থাকবে। পুলিশের অ্যান্টিক ক্রাইম টিম মোতায়েন থাকবে। ৫০০’র বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বড় রাস্তা এবং পুজো মণ্ডপের সামনে। ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি। ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম। দর্শনার্থীরা যাতে ভালোভাবে ঠাকুর দেখতে পারেন, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা থাকছে। শহরের প্রবীণ নাগরিকদের ঠাকুর দেখানোর জন্য সপ্তমীর দিন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান সিপি।