হুগলি: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (LOP Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এবার শ্রীরামপুর (Sreerampore) থানায় অভিযোগ দায়ের হল। শুক্রবারই এফআইআর হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের দাবি, বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা এবং বিধায়ক তথা মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরবাহা হাঁসদা ও দেবনাথ হাঁসদা ব্যক্তিগতভাবে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এবার শ্রীরামপুর থানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে দায়ের হল অভিযোগ।
হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতোর নেতৃত্বে এদিন এফআইআর দায়ের করতে যান তৃণমূল ছাত্র-যুব সদস্যরা। তাঁরা দাবি তোলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করতে হবে। একজন ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কীভাবে তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্যদের কু-ভাষায় আক্রমণ করতে পারেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
শেওরাফুলির যুব তৃণমূলের সভাপতি আবির দে বলেন, “আমরা হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে থানায় অভিযোগ জানালাম। শুভেন্দু অধিকারী আমাদের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা কুরুচিকর। তাই এই এফআইআর। বিরোধী দলনেতা আসলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। ওনার সুস্থতা কামনা করি। উনি যেন মানসিক ভারসাম্য ফিরে পান। আমরা ছাত্র পরিষদের তরফে শ্রীরামপুর পোস্ট অফিসেও যাব। সেখান থেকে আমরা গ্রিটিং কার্ড ও ফুল পাঠাব ওনার উদ্দেশে।”
গত কয়েকদিন ধরে ‘কুরুচিকর মন্তব্য’ ঘিরে শাসক ও বিরোধী দলের আকচাআকচি চরমে। পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী অখিল গিরি দেশের রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান। যা নিয়ে পথে নামে বিজেপি। একের পর এক প্রতিবাদ কর্মসূচি, রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবি তোলেন শুভেন্দু অধিকারীরা।
এরইমধ্যে তৃণমূলের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও শাসকদলের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা ও দেবনাথ হাঁসদা সম্পর্কে কুকথা বলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর একটি টুইটকে ঘিরেও ময়দানে নামে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুকে তৃণমূল ছাত্র যুব নেতাদের ফুল, গ্রিটিংস পাঠাতে বলেন তিনি। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘গেট ওয়েল সুন’। যা নিয়ে আদালতে পর্যন্ত যান শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্ট নির্দেশ দেন, বেশি ভালবাসায় মধুমেহ হয়। তাই বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত করে কোনও ‘সুস্থতার বার্তা’ দেওয়ার দরকার নেই।