হুগলি: ক্লাসরুম থেকে এক কলেজ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। আরামবাগের নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে সোমবার এই ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, ঋণের ভারে জর্জরিত ছিলেন শৈলেন বাগ নামে ওই ব্যক্তি। এরইমধ্যে কলেজ রুম থেকে ওই কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, শৈলেন ওই কলেজে গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরামবাগের কালীপুরের বাসিন্দা ছিলেন শৈলেন বাগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ি তৈরির জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। ক্রমেই সেই ঋণের বোঝা চাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল তাঁর জন্য। পরিবার সূত্রে খবর, এই ঋণের কারণে মাসখানেক ধরে মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছিলেন তিনি। পরিবার মনে করছে, সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই কর্মক্ষেত্রে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
কালীপুরের বাড়িতে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন শৈলেন বাগের স্ত্রী রিনা বাগ। স্বামীর এমন পরিণতিতে কপালে হাত তাঁর। রিনা বাগ বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনওদিনই কোনও ঝামেলা হয়নি। আমাদের দু’জনের মধ্যে খুবই ভালবাসা ছিল। তবে কিছুদিন ধরে ওর মাথায় কী একটা চলছিল। দেনার চাপে ছিল। বলত, খালি মনে হয় নিজেকে শেষ করে দিতে। আমি আবার বোঝাতাম, এসব কেন বলছ? এসব মনেও আনবে না। বারবার বুঝিয়েছি, তবু শুনল না।”
আশিস মালিক নামে শৈলেন বাগের এক সহকর্মী জানান, “আজ ওর ডিউটি ছিল। কলেজের মধ্যেই মারা যায়। অনেক সকালেই গিয়েছিল। পরীক্ষা চলছে। তাই ওর খোঁজ করছিল কলেজের লোকজন। তখনই সায়েন্স বিল্ডিংয়ের একটা ঘরে তাঁকে ঝুলতে দেখা যায়। জানি না কেন এরকম হল? পারিবারিক কোনও সমস্যা হতে পারে। আমরা তো কখনও কোনও সমস্যা দেখিনি বা শুনিনি। সকলের সঙ্গে সকালেও স্বাভাবিক আচরণই করেছে। তারপর শুনলাম এই খবর।” আরামবাগ থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।