হুগলি: পুজোর মুখে এলাকায় সন্দেহজনক একদলের ঘোরাঘুরি। জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথাবার্তা সামনে আসতেই পুলিশের হাতে তুলে দিলেন এলাকার লোকজন। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাট বকুলতলা সংলগ্ন এলাকায়। গোঘাট থানার পুলিশ তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। কী উদ্দেশে এলাকায় আসা তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন হইচই পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এদিন দুপুর থেকে অচেনা চার পাঁচজন যুবক এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। তাঁদের দেখে সন্দেহ হয়। এরপরই জিজ্ঞাসাবাদ করতে সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপরই তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। জানা গিয়েছে, চারজনই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় ক’টা সোনার দোকান, কতগুলি কাপড়ের দোকান আছে তা জিজ্ঞাসা করেন ওই যুবকরা। তাতেই সন্দেহ বাড়ে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, “দেখি আমার দোকানের সামনে ঘোরাঘুরি করছে। দেখে সন্দেহ হয় আমার। আমি সিভিক ভলান্টিয়ারকে খবর দিই। ওরা এসে থানায় নিয়ে যায়। বুঝতে পারছি না কী উদ্দেশে এসেছিল। তবে কিছু একটা যে পরিকল্পনা ছিল, তা তো নিশ্চিত। না হলে এখানে ঘোরাঘুরি করবে কেন? বলছে তো ওরা নাকি ঝাড়খণ্ডে থাকে। নাম কিছু বলেনি।”
স্থানীয় মানুষ জনকে। তাতেই সন্দেহ বেড়ে যায়। এর পরেই এলাকার মানুষজন ও ব্যবসায়ীরা জমায়েত হন ও এই চার ভিন রাজ্যের আগন্তুককে পাকড়াও করে। এর পরে জিজ্ঞাসা বাদ করা হয়। তাদের কথায় অসঙ্গতি থাকায় স্থানীয় মানুষজন তাদের আটক করে গোঘাট থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে আসে ও এই চার সন্দেহ ভাজন ভিন রাজ্যের বাসিন্দাকে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশ এদের জিজ্ঞাসা বাদ করা শুরু করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, “দেখি আমার দোকানের সামনে ঘোরাঘুরি করছে। দেখে সন্দেহ হয় আমার। আমি সিভিক ভলান্টিয়ারকে খবর দিই। ওরা এসে থানায় নিয়ে যায়। বুঝতে পারছি না কী উদ্দেশে এসেছিল। তবে কিছু একটা যে পরিকল্পনা ছিল, তা তো নিশ্চিত। না হলে এখানে ঘোরাঘুরি করবে কেন? বলছে তো ওরা নাকি ঝাড়খণ্ডে থাকে। নাম কিছু বলেনি।” আরেক ব্যবসায়ী চন্দন ঘোষ বলেন, “চার পাঁচজন ছেলে ঘোরাঘুরি করছিল। আমাদের স্থানীয় কিছু দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করছিল এখানে ক’টা সোনার দোকান আছে, ক’টা কাপড়ের দোকান আছে। তাতেই সন্দেহ বাড়ে। এরপর ওদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওদের কাছ থেকে ট্রেনের টিকিট উদ্ধার হয়। ব্যান্ডেল হাওড়ার টিকিট।”