হুগলি: উলুবেড়িয়ায় বিডিওর বিরুদ্ধে তথ্য় বিকৃতির অভিযোগ উঠেছিল। এবার তথ্য় বিকৃতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন বলাগড়ের (Balagarh) এক প্রার্থী। মামলাকারীর দাবি, প্রথমে তাঁর নাম ছিল শাসকদলের প্রার্থী হিসাবে। তৃণমূলের প্রতীকও পেয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে সেই প্রতীক ফিরিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাঁর। তাই নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়াতে হয় তাঁকে। তথ্য বিকৃতির অভিযোগ ও শাসকদলের প্রতীক চেয়ে আদালতে যান তিনি। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বলাগড়ের বিডিওর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে তদন্তের আবেদন করেন মামলাকারী। আজ মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
বলাগড় ব্লকের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন সৌমেন ফুষ্টি। তাঁর দাবি, দলের অনুমোদন নিয়েই ভোট প্রচার, দেওয়াল লিখন শুরু করেছিলেন তিনি। গত ১৫ জুন মনোনয়ন জমা দেন বলাগড় বিডিও অফিসে। দুপুর ১২টা ২৫ নাগাদ তিনি সেই মনোনয়ন দাখিল করেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। এদিকে তাঁর পর পরই মনোনয়ন দেন সুরজিৎ ঘোষ নামে আরেক তৃণমূল কর্মী। তিনিও তৃণমূলের হয়েই মনোনয়ন জমা দেন।
সৌমেন ফুষ্টির দাবি, ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহার ও প্রতীক জমা দেওয়ার শেষদিনে তিনি তৃণমূলের প্রতীকই জমা দিয়েছিলেন। তাঁকে ব্লক অফিস থেকে জানিয়েও দেওয়া হয়, তিনিই শাসকদলের প্রার্থী। এরপর বাড়ি ফিরে যান। কিছুক্ষণ বাদেই ফোন যায় তাঁর কাছে। যেতে বলা হয় বিডিও অফিসে। সেখানে তাঁকে জানানো হয়, সুরজিৎ ঘোষের প্রতীক আগে জমা পড়েছে, তাই সৌমেন নন, সুরজিৎই শাসকদলের প্রার্থী।
আদালতে মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, ২০ তারিখ পর্যন্ত তাঁর নাম শাসকদলের প্রার্থী হিসাবে থাকলেও, পরে তা নির্দল হয়ে যায়। শাসকদলের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিক আদালত, এই মর্মেই দায়ের হয় মামলা। প্রসঙ্গত, বলাগড়ে প্রার্থী নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বলাগড়ের বিধায়ক মনোনরঞ্জন ব্যাপারী সোশ্য়াল মিডিয়ায় এ নিয়ে পোস্টও করেন। দলের একাংশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মনোরঞ্জন। এরইমধ্যে আরও এক প্রার্থীর প্রতীক-বিভ্রাট সামনে এলো।