হুগলি: পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে সবথেকে বেশি বোধহয় দেখা যায় দুই জায়ের লড়াই। এবার ভাইয়ে ভাইয়েও লড়াই লাগিয়ে দিল পঞ্চায়েত ভোট। গ্রাম দখলের ‘যুদ্ধে’ মুখোমুখি পাণ্ডুয়া ব্লকের হাজরা পরিবারের দুই ছেলে। তাঁরাই এবার ভোটের ময়দানে যুযুধান। পাণ্ডুয়া ব্লকের ক্ষীরকুণ্ডি নিয়ালা নামাজগ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষীরকুণ্ডি গ্রাম। গ্রামেরই বাসিন্দা পঞ্চানন হাজরা আজীবন বামপন্থায় ভরসা রেখেছেন। ভোটেও লড়েছেন তিনি। পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির তিনবারের সদস্যও ছিলেন। স্ত্রী আরতি সাধুখাঁ প্রাথমিক স্কুলে পড়াতেন। তাঁদেরই দুই সন্তান এবার প্রার্থী হয়েছেন।
বড় ছেলে বিজয়ানন্দ হাজরা বাবার মতোই বামপন্থায় বিশ্বাসী। ক্ষীরকুণ্ডিতে তিনি এবার সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন। ছোটজন আনন্দ হাজরা মোদীভক্ত। ভরসা বিজেপির আদর্শে। তিনি এবার পদ্ম প্রতীকে পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে। বিজয়ানন্দ যেহেতু বাবার আদর্শেই বড় হয়েছেন তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি নিয়ে বাড়িতে খুব একটা অসুবিধায় পড়তে হয়নি। তবে আনন্দকে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।
আনন্দর কথায়, “বাবার ৮০ বছর পার হয়ে গিয়েছে। এখনও দলকে ভালবাসেন। তাই অন্য দলে যাওয়ায় বাবা প্রথমে একটু অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। যদিও পরে সমস্যা হয়নি আর।” আর দাদার বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে গিয়ে? আনন্দ বলেন, ” দাদা সিপিএমের প্রতীকে লড়ছেন, তবুও আমি দাদার কাছেও ভোট চাইতে যাব। ওকে বলব, চারপাশে যা দুর্নীতি চলছে, ভোটটা যেন আমাকেই দেয়।”
অন্যদিকে সিপিএমের বিজয়ানন্দ হাজরাও বলেন, “ভাইয়ের ১৮ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। পছন্দমতো দলের হয়ে ভোটে লড়বে, ওর সেই স্বাধীনতা আছে।” তবে রাজনৈতিক আদর্শ যাই হোক না কেন, ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়েছেন দুই ভাই।