Arambag: মহিলারা তেড়ে যেতেই কাজ হয়ে গেল, ঢোঁক গেলা শুরু প্রধানের

Tanmoy Bairagi | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 18, 2024 | 5:30 PM

Arambag: এলাকার লোকজনের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায় না। রাস্তা তখন পুকুর। জল আর কাদা পেরিয়ে রোজ যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাচ্চা থেকে বুড়ো, মহিলা, সকলের চরম ভোগান্তি। সাপখোপ, পোকামাকড়ের উপদ্রবে টেকা দায় হয়।

Arambag: মহিলারা তেড়ে যেতেই কাজ হয়ে গেল, ঢোঁক গেলা শুরু প্রধানের
প্রতিবাদে গ্রামের মহিলারা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আরামবাগ: দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের রাস্তা বেহাল। বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে যায় হাঁটুর সমান। এই অভিযোগকে সামনে রেখে এবার পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। এমনই চাপ দেন যে পঞ্চায়েতের কর্তাব্যক্তিরা বাধ্য হন এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। আরামবাগের মলয়পুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের বনমালিপুরের ঘটনা।

এলাকার লোকজনের অভিযোগ, গ্রামপঞ্চায়েতের লোকজনকে বারবার বলেও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে মহিলারা একজোট করে ময়দানে নেমেছেন। তাতেই গ্রামে পর্যন্ত চলে আসেন পঞ্চায়েতের লোকজন। আরও অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায় না। রাস্তা তখন পুকুর। জল আর কাদা পেরিয়ে রোজ যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাচ্চা থেকে বুড়ো, মহিলা, সকলের চরম ভোগান্তি। সাপখোপ, পোকামাকড়ের উপদ্রবে টেকা দায় হয়।

বনমালিপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় সারা বছরই তাঁদের রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকে। ফলে তাঁরা যে কোন কাজেই সমস্যায় পড়েন। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, চিকিৎসার অভাবেই শেষ হয়ে যেতে হয়। বারবার পঞ্চায়েতকে বলেও কাজ হয়নি।

পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ তৃণমূল অন্যান্য নেতা এই রাস্তা পরিদর্শন করেন। তাঁরা জানান, আপাতত এই রাস্তা অস্থায়ীভাবে মেরামত করে দেওয়া হবে। বর্ষা মিটলে শুরু হবে স্থায়ী রাস্তা শুরুর কাজ। প্রধান আরেফা বেগম বলেন, “বিডিও ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব তাড়াতাড়ি রাস্তাটা হয়ে যাবে।”

স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু খাঁড়া বলেন, “আমরা তো ঠিক করেছিলাম পঞ্চায়েতের গেটে তালা লাগিয়ে দেব। উপপ্রধান এসে কী হয়েছে জানতে চান। আমরা বললাম, রাস্তাটা একবার গিয়ে দেখুন। এই রাস্তায় হাঁটাচলা যায় না। কোনও গাড়ি ঢুকতে চায় না। বাচ্চারা পড়ে হাত পা ভাঙছে। বয়স্ক লোকজন পিছল খেয়ে পড়ে যাচ্ছে।”

Next Article