Hooghly: ভোটের বাজারে ঝড় তুলেছে হলুদ তরমুজ, জোর তরজা রাজনৈতিক মহলে

Hooghly: পান্ডুয়ার তিন্নার এক ফল ব্যবসায়ী বেঙ্গালুরু থেকে তরমুজ এনেছেন। তিনি লাল তরমুজের পাশাপাশি বিক্রি করছেন হলুদ তরমুজও। এই তরমুজকে নিয়েই লোকসভা ভোটের বাজারে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Hooghly: ভোটের বাজারে ঝড় তুলেছে হলুদ তরমুজ, জোর তরজা রাজনৈতিক মহলে
হলুদ তরমুজে শোরগোল Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2024 | 10:08 PM

হুগলি: ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে দেশেই। উত্তাপ বাড়ছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনাতেও। বঙ্গ রাজনীতিতে তরমুজ শব্দ আমদানি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যায়, বামেদের সঙ্গে সখ্যতার জন্য কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তরমুজ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এদিকে লোকসভা ভোটের মুখে বাংলায় এখন হয়েছে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা। তা নিয়েও একাধিকবার কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। এখন আবার ভোট আসতেই ‘রাম-বাম’ জোট নিয়েও শুরু হয়েছে তরজা। অন্যদিকে ভোটের গরম তো আছে, সঙ্গে আবহাওয়ার পারদও তড়তড়িয়ে বেড়ে চলেছে। ডাক্তাররা বলেন, এই সময় তরমুজ স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। বাজারে তরমুজ বিকোচ্ছেও দেদার। লাল তরমুজ তো দেখেছেন, খেয়েছেন, কিন্তু, হলুদ তরমুজ? শুনতে অবাক লাগলেও এই ছবিই দেখা গেল হুগলিতে।

পান্ডুয়ার তিন্নার এক ফল ব্যবসায়ী বেঙ্গালুরু থেকে তরমুজ এনেছেন। তিনি লাল তরমুজের পাশাপাশি বিক্রি করছেন হলুদ তরমুজও। এই তরমুজকে নিয়েই লোকসভা ভোটের বাজারে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস আর তোপ দেগেছে তৃণমূল, বিজেপিকে। প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য অনুদ্যুতি চক্রবর্তী বলেন, একসময় তো সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তরমুজ বলা হত। এখন আবার তৃণমূল বিজেপির সেটিং। সেটাও সবার জানা। তাই সঠিক সময়ে এই তরমুজ বাজারে এসেছে।

সিপিআইএম নেতা প্রদীপ সাহা বলেন, তরমুজের রঙ কী তার উপর দাঁড়িয়ে ভোট হয় না। বামপন্থীরা ঘোষিত আরএসএস বিরোধী। তাদের বিরুদ্ধে ভোট এক জায়গায় করার চেষ্টা চলছে গোটা দেশেই। ইডি সিবিআই তদন্ত করছে কিন্তু, কালীঘাট পর্যন্ত যায় না। এতেই বোঝা যায় বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের কী আঁতাত রয়েছে। 

তরমুজ বিক্রেতা রবি মাল জানান, লাল তরমুজের থেকে এই হলুদ তরমুজের দাম একটু বেশি। কিন্তু খুবই সুস্বাদু। বিক্রিও হচ্ছে ভালই। ক্রেতাদের মধ্যে উৎসাহও যথেষ্ট আছে। 

এদিকে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ২০১৯ সালে বামের ভোট রামে গিয়েছিল। সেটা সবাই দেখেছে। হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন। আগে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে তরমুজ বলা হত। এখন দেখা যাচ্ছে ভিতরে গেরুয়া বাইরে লাল। সিপিএম বিজেপির ভিতরে ভিতরে সব সেটিং হয়ে আছে। কিন্তু খালি চোখে দেখা যাচ্ছে না। পাল্টা দিয়েছে পদ্ম শিবিরও। বিজেপির পান্ডুয়া মণ্ডল সভাপতি অমিতাভ ঘোষ বলেন, বিজেপি এতবড় দল যে তাদের অন্য কাউকে প্রয়োজন নেই। নিজের দমেই ভোট লড়তে জানে বিজেপি।