AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: ‘শব্দ শুনে প্রেমিকা বেরিয়ে এলে দুটো কথা হত’, ইউটিউব দেখে বোমা বানানো শিখল প্রেমিক

youth throws bomb on lover's house: পুলিশ ওই তরুণীর সঙ্গে সাগরের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তাঁর খোঁজ শুরু করে। পাশাপাশি বাইকের নম্বর দেখেও তল্লাশি চালায়। সাগর এবং তাঁর বন্ধুদের বাড়ি গিয়ে পুলিশ জানতে পারে যে তাঁরা ঘটনার পর থেকে আর বাড়িতে থাকছিলেন না। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তাঁদের ব্যারাকপুর থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর চার বন্ধুই কল্যাণীতে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানতে পারে।

Hooghly: 'শব্দ শুনে প্রেমিকা বেরিয়ে এলে দুটো কথা হত', ইউটিউব দেখে বোমা বানানো শিখল প্রেমিক
কী বলছেন ধৃত প্রেমিক?Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2025 | 4:56 PM
Share

বৈদ্যবাটি: চিঠি লিখে প্রেমিক-প্রেমিকার মনের কথা আদানপ্রদানের যুগ আর নেই। এখন ফোনেই নিজেদের মনের কথা বলেন। কিন্তু, প্রেমিকা যদি কয়েকদিন ফোন না ধরেন? কী করতে পারেন প্রেমিক? হুগলির বৈদ্যবাটিতে এক যুবক যা করলেন, তা চমকে দেওয়ার মতো। প্রেমিকাকে সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর বাড়িতেই বোমা ছুড়লেন। এমনকি, সেই বোমা তিনি নিজেই বানিয়েছেন ইউটিউব দেখে। ঘটনায় ওই প্রেমিক ও তাঁর ৩ বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। আর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার পর সাগর মালিক নামে ওই যুবকের অকপট স্বীকারোক্তি, বোমা ফাটার শব্দে প্রেমিকা বেরিয়ে এলে দুটো কথা হত। তাই বোমা ছুড়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর ছটপুজোর রাতে বৈদ্যবাটির ১৮ নম্বর ওয়ার্ড মালির বাগান খামারডাঙা এলাকায় বোমা ছোড়া হয়। সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই বোমা মারার ছবি ধরা পড়ে। একটি বাড়ির দেওয়ালে লাগে বোমা। জানালার কাচ ভেঙে যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ যে বাড়ির দেওয়ালে বোমা মারা হয়েছিল, সেই বাড়ির বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু কোনও সূত্র পাওয়া যায় না।

এরপর এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজে একটি বাইকের ছবি দেখে তার সন্ধান শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মালির বাগানে যে এলাকায় বোমাবাজি হয়েছিল, সেখানে এক তরুণীর সঙ্গে চাঁপদানির যুবক সাগর মালিকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কে অবনতি হওয়ায় বেশ কিছুদিন যাবৎ প্রেমিক প্রেমিকার দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছিল না। এর মধ্যেই প্রেমিক বন্ধুদের মারফত জানতে পারেন, প্রেমিকা অন্য এক যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করছেন। এদিকে সাগরের ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছেন তরুণী। এক বন্ধু সাগরের নাম ভাঁড়িয়ে তরুণীর বাড়িতে ফোন করে। সেই সময় তরুণী বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর মা ফোন ধরতেই মেয়ের সম্বন্ধে বাজে কথা বলে এবং গালিগালাজ করে। মায়ের কাছে এই কথা শুনে তরুণী আরও রেগে যান।

এই অবস্থায় কী করে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করা যায়, সেটাই ভাবতে থাকেন প্রেমিক। যখন দু’জনের সম্পর্ক মধুর ছিল, তখন গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা ভিডিয়ো কলে কথা বলেছেন। এখন কীভাবে প্রেমিকার সঙ্গে আবার কথা বলবেন? এই ভাবতে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে বুদ্ধি বার করেন সাগর। ইউটিউব দেখে কতকগুলো বাজির মশলা দিয়ে বোমা বানান। বোমা ফাটার আওয়াজে তরুণী যদি বেরিয়ে আসেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। এই উদ্দেশ্যে ছটপুজোর রাতে চার বন্ধু পৌঁছে যান মালির বাগান এলাকায়। বোমা ছোড়ে একটি বাড়ির দেওয়ালে। কিন্তু, এতটাই জোরে শব্দ হয় যে তাঁরা নিজেরাই ভয় পেয়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ ওই তরুণীর সঙ্গে সাগরের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তাঁর খোঁজ শুরু করে। পাশাপাশি বাইকের নম্বর দেখেও তল্লাশি চালায়। সাগর এবং তাঁর বন্ধুদের বাড়ি গিয়ে পুলিশ জানতে পারে যে তাঁরা ঘটনার পর থেকে আর বাড়িতে থাকছিলেন না। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তাঁদের ব্যারাকপুর থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর চার বন্ধুই কল্যাণীতে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, সাগরের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রিন্স যাদব, প্রণীত পাল এবং আয়ুষ যাদবকে। চারজনেরই বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

ধৃতদের এদিন আদালতে তোলার সময় সাগর বলেন, “আমার সঙ্গে প্রেমিকা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি প্রেমিকাকে বলি, তুমি কেন আমার সঙ্গে কথা বলছ না। আমি ভেবেছিলাম, বাজির শব্দ পেয়ে প্রেমিকা বেরিয়ে এলে কথা বলব। কিন্তু, বাজির শব্দ এত বেশি ছিল, আমরাই ভয়ে পালিয়ে এসেছিলাম।”