হাওড়া: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। গ্রামে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Worker) দল। শুক্রবার সকাল থেকেই তুমুল ভিড় হাওড়া স্টেশন (Howrah Station) চত্বরে। হাওড়া স্টেশন লাগোয়া দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ডেও উপচে পড়ছে ভিড়। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে তিন থেকে চার গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বাসের টিকিট। টিকিটের কালোবাজারির জেরে গ্রামে ফিরতে গিয়ে বেকায়দায় শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমিক। কেউ ফিরছেন ভিন রাজ্য থেকে, কেউ আবার থাকতেন কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ভোট উৎসবে সামিল হতে সকলেই ফিরছেন বিভিন্ন জেলায় গ্রামের বাড়িতে।
পূর্ণ দাস নামে এক যাত্রীর অভিযোগ, ১০০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। তাও পাওয়া যাচ্ছে না টিকিট। ঠাসাঠাসি করে কোনও মতে বাসে উঠলেও মিলছে না বসার জায়গা। অনেকেই বাধ্য হয়ে বাসের ছাদেও চড়ে বসছেন। তিনি বলছেন, “আমি খেজুরি যাব। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বাড়ি যাচ্ছি। আগে তো বুঝতে পারিনি এত ভিড় হবে। এমনি সময় একশো টাকা ভাড়া নেয়। এখন বলছে ৫০০ টাকা, ৬০০ টাকা ভাড়া। সব টিকিট ব্ল্যাক হচ্ছে।”
আর এক যাত্রী অরুণ কুমার সামন্ত বলছেন, “ভিতরে তো জায়গা নেই। ছাদে উঠলেও বলছে ৩০০ টাকা ভাড়া। এত টাকা দিয়ে কীভাবে বাড়ি যাব বুঝতে পারছি না। ভোটের জন্যই বাড়ি যাচ্ছিলাম। ভোট দেওয়া তো আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট না দিলে পরবর্তীতে পঞ্চায়েতে গেলে প্রধান বলবে তোমরা তো ভোটই দাওনি। সে কারণেই ভোট দিতে যাচ্ছি।”
ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন বেসরকারি বাস ও মিনিবাস মালিকদের সংগঠন অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, “এটা বেআইনি কাজ। আসলে এগুলোতে বাস মালিক বা সংগঠনগুলির কোনও সম্পর্ক নেই। ওখানে যাঁরা বাস চালায় তারাই এগুলো এই সময় করে থাকে। এটা একদমই ঠিক নয়। এটা সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক। আগেও আমাদের কাছে এ ধরনের অভিযোগ এসেছে। আমরা এটা সমর্থন করি না। ইতিমধ্যে যা অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি। যাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁদের পুলিশে যেতে বলেছি।”