হাওড়া: একদিন আগেও সব স্বাভাবিক ছিল। এরইমধ্যে আমচকা মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে এল ফোন। ফোনটা ধরতেই যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল তাঁদের। ফোনেই জানতে পারলেন আর বেঁচে নেই মেয়ে। আত্মহত্যা করেছে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের থেকে এ কথা শোনার পর তাঁরা যেন নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ছুটে গেলেন মেয়ের বাড়ির। তাঁদের অভিযোগ, আত্মহত্যা (Suicide) নয়, খুন (Murder) করা হয়েছে মেয়ে। অভিযোগ তোলা মাত্রই তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর করে মেয়ের শ্বশুড়বাড়ির লোকজন।
এদিন শিবপুরের ওলাবিবিতলায় এক সঙ্গীতা দে (২৪) নামে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, আত্মহত্যা করতেই পারে না তাঁদের মেয়ে। সংসারে অশান্তি চলছিল দীর্ঘদিন থেকে। সে কারণেই তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, তুলতেই তাঁদের উপর চড়াও হয় সঙ্গীতা দেবীর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশকে দেখে বিক্ষোভ শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা। তারমধ্যেই গৃহবধূর স্বামী জয়দীপ চন্দ্র দে, শ্বশুর জয়ন্ত দে ও শাশুড়ি ভিখারানী দে-কে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পাশাপাশি সঙ্গীতা দেবীর দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
ঘটনায় গৃহবধূর মা সুমিতা দাস বলছেন, ‘‘আজ সকালে ৬টার সময় মেয়েকে রোজকার মতো ফোন করেছিলাম। ফোন ধরেনি। তারপর বারবার ফোন করছিলাম আর কেউই ফোন ধরেনি। এর মধ্যে ওর শ্বশুর ফোন করে জানায় আমার মেয়ে নাকি গলায় দড়ি দিয়েছে। আমরা এটা বিশ্বাস করি না। ওদের বাড়িতে ঝামেলা হচ্ছিল। ওরাই আমার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।”