Rajdhani Express: ভোটের মুখে দিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা, বাংলার দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার ৫০ লাখ

Rajdhani Express: এদিন ডাউন নিউ দিল্লি হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায় জিআরপি। তখনই সন্দেহভাজন ৬ যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকেই ওই বিপুল টাকা উদ্ধার হয়। এত টাকা নিয়ে কোন উদ্দেশ্যে তাঁরা ট্রেনে চড়েছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়।

Rajdhani Express: ভোটের মুখে দিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা, বাংলার দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার ৫০ লাখ
ঘটনায় শোরগোল হাওড়ায়Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2024 | 11:39 PM

হাওড়া: লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে দফায় দফায় টাকা উদ্ধারের ছবি সামনে এসেছে। কয়েকদিন আগে আসানসোল স্টেশনে এক যাত্রীর কাছে থাকা ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এদিনই আবার কোলাঘাটে পুলিশের নাকা চেকিংয়ে একটি প্রাইভেট গাড়ি থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। এবার কার্যত একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল হাওড়া স্টেশনে। লোকসভা ভোটের আগে হাওড়া স্টেশন থেকে বিপুল পরিমাণ টাক- সহ গ্রেফতার রাজধানী এক্সপ্রেসের ছয়জন যাত্রী। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। 

সূত্রের খবর, এদিন ডাউন নিউ দিল্লি হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায় জিআরপি। তখনই সন্দেহভাজন ৬ যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকেই ওই বিপুল টাকা উদ্ধার হয়। এত টাকা নিয়ে কোন উদ্দেশ্যে তাঁরা ট্রেনে চড়েছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে দু’জন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা ও চারজন লখনৌয়ের বাসিন্দা রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁরা সকলেই কলকাতায় আসছিলেন বলে জানা যাচ্চে। এদিন সকালে তল্লাশির সময় তাঁদেরল ব্যাপক থেকে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে জিআরপি। এই টাকার কোনও বৈধ কাগজ তাঁরা দেখাতে পারেননি বলে জানা যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদেও তাঁদের কথায় অসঙ্গতি পেলে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের তালিকায় আছেন, বিশ্বনাথ জানা (৩৮ ), সৌমেন জানা(২৯),সৈয়দ আসিফ (৫৩), জিসান খান মিরাজ (৩৪),মুদিত রাষ্ট্রগী (৪২ ), মোহম্মদ দানের (২৯)। এদের মধ্যে বিশ্বনাথ ও সৌমেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। 

সূত্রের আরও খবর, ধৃতেরা পুলিশের কাছে জানিয়েছে ব্যবসার কারণেই তাঁরা প্রায় ৫০ লক্ষ নগদ নিয়ে কলকাতায় আসছিলেন। কিন্তু, কী ব্যবসা, কোথাকার ব্যবসা, সেই সম্পর্কে ধোঁয়াশা রয়ে যায়। তাঁদের কথায় আরও অসঙ্গতি পায় পুলিশ। তাঁদের আসল উদ্দেশ্য কী ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।