হাওড়া: সাঁকরাইলে নির্যাতিতা গৃহবধূকে দেখতে এসে রাজ্য়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) পুলিশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন অগ্নিমিত্রা।
সোমবার সন্ধ্যায় সাঁকরাইল থানার মাকুয়ায় দলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে এসে রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অগ্নিমিত্রা। বিজেপি বিধায়কের কথায়, “নবান্নের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসনের পিঠের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। এই কাজটা খুব দায়িত্ব নিয়ে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
সাঁকরাইলে এক গৃহবধূর নির্যাতনের ঘটনায় বিজেপি নেত্রীর মন্তব্য, “আমরা ওই নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। তিনি কোন রাজনৈতিক দল করেন তা বড় কথা নয়, কিন্তু আমাদের আসার খবর পেয়েই ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে তিনি দেখা না করতে পারেন।”
এখানেই শেষ নয়, সাঁকরাইল থানায় গিয়ে কথা বলারও চেষ্টা করেছিলেন অগ্নিমিত্রা। কিন্তু পুলিশ অধিকর্তা দেখা করেননি বলে অভিযোগ। থানা থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বড়বাবু থানায় নেই। এমনকী, থানায় এসেও দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের সুরে অগ্নিমিত্রা আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পরে বলেছিলেন বিরোধীদের রাজনীতির জায়গা করে দেবেন। আদতে তা মিথ্যে। তাই মহিলা নির্যাতনের ঘটনায় তিনি চুপ করে থাকেন। অথচ, এই মহিলাদের ব্যবহার করেই তিনি ভোটে যেতেন।”
প্রশাসনের ‘পুত্তলিবৎ’ আচরণের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন বিজেপি নেত্রী। বলেন, “পুলিশ পুরো কাঠের পুতুল। কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। কিছু বলতে পারে না। বিরোধী দলের নেতৃত্ব পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলুক তাও মুখ্যমন্ত্রী চান না। আর কেউ কথা বললেই তাকে বদলির নোটিস ধরিয়ে দেওয়া হয়।”
গত ২০ জানুয়ারি, ভরদুপুরে খাবার ও পানীয় জল চাইতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসে বেশ কয়েকজন। কিন্তু, খাবার চাইবার নামে সাঁকরাইলের ওই গৃহকর্ত্রীর উপর মারধর ও অত্যাচার চালায় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এমনকী, বাড়িতে লুঠপাঠও চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেইসময় বাড়িতে অন্য কোনও সদস্য না থাকায় ওই দুষ্কৃতীর দল গৃহকর্ত্রীকে চেয়ারে বসিয়ে হাত পা বেঁধে দেয়। ওই অবস্থাতেই তাঁকে মারধর ও যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘরের থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার গয়না ও ৫০ হাজার টাকা নগদ নিয়ে ওই চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। পরে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে, এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।