Howrah: নাবালিকাদের নিয়ে বেলাগাম দেহ ব্যবসা, হাওড়ার হোটেলে হচ্ছে টা কী

Subrata Banerjee | Edited By: Soumya Saha

Feb 23, 2024 | 7:58 PM

Howrah: সাঁকরাইলের ধূলাগড়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এক হোটেল থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। হোটেল থেকে দু'জন নাবালিকা ও চারজন মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, উঠছে, ওই হোটেলে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছিল।

Howrah: নাবালিকাদের নিয়ে বেলাগাম দেহ ব্যবসা, হাওড়ার হোটেলে হচ্ছে টা কী
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: সন্দেশখালির ইস্যুতে যখন নাগাড়ে শাসক শিবিরকে বিঁধছে বিজেপি, তখন পাল্টা হাওড়ার এক ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপির উপর চাপ তৈরির চেষ্টায় তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছিল বুধবার সন্ধেয়। সাঁকরাইলের ধূলাগড়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এক হোটেল থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। হোটেল থেকে দু’জন নাবালিকা ও চারজন মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, উঠছে, ওই হোটেলে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছিল। সেই ঘটনায় ধৃত ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন ওই হোটেলের মালিক আন্দুলের বাসিন্দা সব্যসাচী ঘোষ। আর এই ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতর।

তৃণমূল শিবির থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই সব্যসাচী ঘোষ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। গেরুয়া শিবিরের পদাধিকারী বলেও দাবি করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে হাওড়ার ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী তথা শাসক দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহিলা মুখ শশী পাঁজা। আজ এই সব্যসাচী ঘোষের একটি ছবি দেখিয়ে মন্ত্রী দাবি করেন,ওই ব্যক্তি হাওড়া সদর কিষাণ মোর্চার সম্পাদক।

যদিও তৃণমূলের এই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি শিবির। শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ঘোষদের সাংবাদিক বৈঠকের পরই পাল্টা বিবৃতি প্রকাশ করে বিজেপির হাওড়া সদরের সংগঠন। সব্যসাচী ঘোষ ইস্যুতে যে খোঁচা দিতে শুরু করেছে তৃণমূল, সেই নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিজেপি। ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে। দলের কোনও পদে সব্যসাচী ঘোষ নেই, সে কথাও জানানো হয় বিজেপির তরফে। বিজেপির হাওড়া সদর সংগঠন থেকে পাল্টা ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, সন্দেশখালির ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই এসব করা হচ্ছে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও শশী পাঁজার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ওই ব্যক্তি কিষাণ মোর্চার কোনও নেতা নন। একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘যেদিন এই খবর বেরিয়েছে, সেদিনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। পার্টিকে বলে দিয়েছি, ওই ব্যক্তিকে দল থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। দু’ঘণ্টার মধ্যে সাসপেন্ড করে দিয়েছি। যদি অপরাধী হয়, জেলে নিয়ে গিয়ে ফাঁসি দেওয়া হোক তাঁকে। আমরা দাবি করছি ফাঁসি দেওয়া হোক। তৃণমূল পেরেছে শেখ শাহজাহানকে সাসপেন্ড করতে? তৃণমূল বলতে পারবে শেখ শাহাজাহানের ফাঁসি দিতে হবে?’

Next Article