হাওড়া: বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে তৃণমূলের লোকজনের হামলার অভিযোগ উঠল উত্তর হাওড়ায়। যে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। পাল্টা তাদের দাবি, সাত সকালে বাইরে থেকে একদল ছেলে এসে মদ খেয়ে, গান বাজিয়ে হইহই করছিল। পাড়ার লোকেরা তার প্রতিবাদ করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। স্থানীয় বিধায়ক বলেন, “বাইরে থেকে ছেলে এসে বিজয়া সম্মিলনীর নামে এসব করলে আমার তো কিছু করার নেই। সকলে অচেনা মুখ। এলাকায় এসে পতাকা টাঙিয়ে একটা শান্ত পাড়াকে অশান্ত করে তুললে প্রতিবাদ তো লোকে করবেই। আবার করলে আবারও প্রতিবাদ হবে। এখানে জীবনে এসব হয়নি। সাতসকালে গান বাজিয়ে মদ খেয়ে কীসের বিজয়া সম্মিলনী?”
উত্তর হাওড়ার ১১ নম্বর ওয়ার্ড। রবিবার সেখানেই বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী চলছিল। এলাকার বিজেপি কর্মীদের দাবি, এলাকার এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতেই বিজয়া সম্মিলনী চলছিল তাঁদের। সেই উপলক্ষে মধ্যাহ্ন ভোজেরও আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, সেখানেই তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর লোকজন গিয়ে চড়াও হন। অভিযোগ, মারধর করা হয়।
পরে খবর পেয়ে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ সেখানে যায়। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব বিজেপি। যদিও বিধায়কের বক্তব্য, “আমি যতটা জেনেছি, একদল বাইরের ছেলে পাড়ায় সকাল থেকে গান বাজিয়ে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগিয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হুল্লোড় করছিল। মাংস, নানাপদ রান্না চলছিল। সকাল থেকে এরকম হুল্লোড়ে এলাকার লোকজন বিরক্ত হন। এলাকায় কোনওদিন সকালে এসব হয় না। বিজয়া সম্মিলনীর নামে এসব চললে, তাতে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে তাতে আমার তো কিছু করার নেই।”
অন্যদিতে উত্তর হাওড়া বিজেপির মণ্ডল সভাপতি আনন্দকুমার সরকার বলেন, “পুজোর পর আমরা একটা বিজয়া সম্মিলনী করলাম। ২৯ তারিখ ধর্মতলার অনুষ্ঠানের একটা প্রস্তুতি বৈঠকও ছিল। এখানে কিসান মোর্চার সভাপতিও ছিলেন। ওনারই জায়গা এটা। প্যান্ডেল করেছি। কোনও মাইক নেই। ১টা থেকে অনুষ্ঠান। সাড়ে ১২টায় তৃণমূলের লোকজন এসে হামলা চালাল।”