হাওড়া: বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে রাস্তা জুড়ে বাইক দাঁড় করিয়ে সেই বাইকে বসে প্রকাশ্যে মদ্যপান করছিলেন কিছু যুবক। ওই রাস্তা দিয়ে অন্যান্য গাড়ি চলাচল করতে পারছে না বলে প্রতিবাদ করেছিলেন স্থানীয় এক যুবক। এরপরই ওই যুবককে পাথর, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল বাইকে বসে থাকা ওই মদ্যপ যুবকদের বিরুদ্ধে। বিয়েবাড়িতে আসা অন্যান্য অতিথিরাও অভিযুক্তকে সমর্থন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার বেতড় মহেশ পাল লেনে। সমৃদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় নামের ওই যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অস্ত্র নিয়ে ওই যুবকের ওপর আক্রমণের অভিযোগে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ স্বরূপ হালদার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার আহত যুবকের মা মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁদের বাড়ির কাছেই তাঁর ছেলের ওপর চড়াও হয় মদ্যপ যুবকেরা। তিনি আরও জানান, রবিবার রাতে তাঁদের বাড়ির কাছেই স্থানীয় একটি ক্লাবে বিয়ে বাড়ি ছিল। ওই বিয়ে বাড়ির সামনে রাস্তা জুড়ে প্রচুর বাইক রাখা ছিল। আর ওই বাইকের ওপর বসে কয়েকজন যুবক প্রকাশ্যে মদ্যপান করছিলেন। তাঁদের প্রতিবেশী এক মহিলা বাইক থাকার কারণে বাড়িতে তাঁদের চার চাকা গাড়িটি ঢোকাতে পারছিলেন না। মদ্যপ যুবকদের ওই মহিলা সরে যেতে বললেও তাঁরা সরেননি। উল্টে ওই মহিলাকে তাঁরা গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। সেইসময় ওখান দিয়ে সমৃদ্ধ বাড়ি ফিরছিলেন।
প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে ওই আচরণ দেখে তিনি প্রতিবাদ করেন। মদ্যপ যুবকদের বাইকগুলি সরিয়ে রাখতে বলেন। মৈত্রেয়ী দেবীর অভিযোগ, তখনই মদ্যপ অবস্থায় যুবকরা তাঁর ছেলেকে গালিগালাজ করতে থাকেন। এমনকী ক্লাবের ভিতর থেকে বিয়েবাড়িতে উপস্থিত অনেকে নেমে আসেন। মদ্যপ যুবকদের সঙ্গে তাঁরাও সমৃদ্ধকে লক্ষ্য করে পাথর, বাঁশ নিয়ে চড়াও হন। বেধড়ক মারধর করে সমৃদ্ধকে। কার্যত খুনের চেষ্টা করে ওই যুবককে। মাথায় ও ঘাড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সমৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর পর চ্যাটার্জিহাট থানায় সমৃদ্ধর পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এলাকায় সিসিটিভি আছে কি না তা খতিয়ে দেখে বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।