Bally: বালি পৌরসভার ফিন্যান্স অফিসারকে বদলির ঘটনায় আরও চাপানউতোর, স্পেশাল অডিট রিপোর্টের নির্দেশ

Subrata Banerjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 28, 2024 | 12:34 PM

Bally: আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, বালি নাগরিক সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখে জানানো হয় যে বালি পুর এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে না। কাজের টেন্ডারের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে। শাসক দলের নেতাদের কাছে লভ্যাংশ পৌঁছে যাচ্ছে।

Bally: বালি পৌরসভার ফিন্যান্স অফিসারকে বদলির ঘটনায় আরও চাপানউতোর, স্পেশাল অডিট রিপোর্টের নির্দেশ
বালি পৌরসভা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

 বালি: বালি পৌরসভার ফিন্যান্স অফিসারকে বদলির ঘটনায় তোলপাড় প্রশাসনিক মহল। তদন্তে উঠে এল আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে স্পেশাল অডিট রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য চার জন স্পেশ্যাল অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সিপিআইএম নেতা ও আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অডিটর জেনারেলকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে কারণ অনেক বড় দুর্নীতি হয়েছে।”

আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, বালি নাগরিক সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখে জানানো হয় যে বালি পুর এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে না। কাজের টেন্ডারের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে। শাসক দলের নেতাদের কাছে লভ্যাংশ পৌঁছে যাচ্ছে।এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে বালি পৌরসভার প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি দেখতে বলা হয়।

আইনজীবীর আরও বক্তব্য, “এসবের পরেও কিছু লাভ হয়নি। ফিন্যান্স অফিসার কল্যাণ প্রামাণিক তাঁর দফতরের উচ্চ মহলে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন সরকারি নিয়ম না মেনে টেন্ডার ও কাজ হয়েছে বালি পৌরসভায়। সেই কাজের বিল পাশ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।”

টেন্ডারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বালি পৌরসভার কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বালি পৌরসভার প্রশাসনিক তথা হাওড়া সদরের মহকুমা শাসক অমৃতা বর্মন রায়কে শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গেল,  ফিন্যান্স অফিসার প্রতিবাদ করলেন তাঁকেই বদলি করে দেওয়া হল । তাই  পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেন সব্যসাচী।

প্রসঙ্গত, বালি পৌরসভার ফিন্যান্স অফিসার কল্যাণ প্রামাণিককে শো-কজ করেন  হাওড়া সদরের মহকুমা শাসক অমৃতা রায় বর্মণ। আর এরপরই প্রকাশ্যে আসে বিস্ফোরক তথ্য। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠে, ওই ফিন্যান্স অফিসার পৌরসভায় একাধিক আর্থিক দুর্নীতি ধরে ফেলেছেন। আর তাতেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে উঠে পড়ে লেগেছে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর তাঁর বদলির নির্দেশ ঘিরে আরও চাপানউতোর তৈরি হয়।

Next Article