Ramakrishna Mission-Belur Math: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নয়া অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেলেন স্বামী গৌতমানন্দ

Ramakrishna Mission-Belur Math: রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী গৌতমানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে যোগ দেন ১৯৫১ সালে। তিনি স্বামী রঙ্গনাথানন্দজির কাছে আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ নেন। তিনি ১৯৬৬ সালে মঠের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশ্বনন্দজির কাছে সন্ন্যাসের দীক্ষা নেন।

Ramakrishna Mission-Belur Math: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নয়া অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেলেন স্বামী গৌতমানন্দ
গৌতমানন্দজিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 24, 2024 | 3:01 PM

হাওড়া: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দ। সহ অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষের দায়িত্বভার স্বামী গৌতমানন্দ। তবে অধ্যক্ষের পদটি শূন্য ছিল। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের পদ গৌতমানন্দজিকে দেওয়া হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল প্রয়াত অধ্যক্ষের ভান্ডারা অনুষ্ঠানের পর এক মাসের মধ্যেই অধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হল পদ্ধতি মেনে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বামী গৌতমানন্দের নাম ঘোষণা করা হয়।

বেলুড় মঠের তরফে জানানো হয়েছে, অছিপরিষদের সবচেয়ে প্রবীণ সহ অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজি মহারাজ। তাই তাঁকেই অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী গৌতমানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে যোগ দেন ১৯৫১ সালে। তিনি স্বামী রঙ্গনাথানন্দজির কাছে আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ নেন। তিনি ১৯৬৬ সালে মঠের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশ্বনন্দজির কাছে সন্ন্যাসের দীক্ষা নেন। দীর্ঘদিন অরুণাচল প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশে গ্রামীণ আদিবাসী জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের কাজ করেছেন গৌতমানন্দজি। সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং দিল্লির ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় সংস্থায় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯০ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ট্রাস্টি হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৯৯৫ সালে চেন্নাই মঠের প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি দেশের বহু ত্রাণ অভিযানে অংশ নিয়েছেন। দেশ ও বিদেশের বহু জায়গায় তাঁর বক্তৃতা ভারতের আধ্যাত্মিকতা ও বেদান্ত দর্শনের বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।