হাওড়া: আবারও বিস্ফোরক বিজেপি রাজ্যনেত্রী ভারতী ঘোষ। ‘দিদির দূত’-রা এলাকায় গেলে তাঁদেরকে চপ্পল নিয়ে তাড়া করার নিদান দিলেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যের পরই জলঘোলা রাজনৈতিক মহলে। সোমবার আবাস যোজনার দুর্নীতি ও আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি। সেখান থেকেই ভারতী ঘোষকে এমন বক্তব্য করতে শোনা যায়। এ দিন ভারতী ঘোষ বলেন, “আমি এদেরকে বলি ‘বাংলার ভূত’। দূত বা ভূত হোক আপানাদের বাড়িতে ঢুকলেই যা যা রয়েছে খুন্তি, হাতা, ঝাঁটা, চপ্পল নিয়ে তাড়া করুন। কোনও কথাই বলতে দেবেন না। বলবেন আমাদের হকের জিনিসগুলো সুদের সঙ্গে দাও। আগে জিনিস দাও। তারপর কথা বলতে আসো। আজকে ওরা কোটি-কোটি টাকা ঘুষ খেয়ে আপনাদের ছেলে-মেয়েদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে।”
বিষয়টিকে কটাক্ষ করে হাওড়ার তৃণমূল জেলা সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, “নিজেরা ঝাঁটা-জুতো খেতে-খেতে সকলকেই তার গল্প শোনাচ্ছে। বিজেপির কোনও দিন হিম্মত হবে না নিজেদের কোও একটা প্রকল্প নিয়ে তার সুবিধা মানুষ পাচ্ছে কি না তা জানার।”
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা (Amarnath Sakha) ঠিক এই ধরনের মন্তব্য করেন। যদিও, জুতো নয়, তাঁর আবার নিদান ছিল ঝাঁটাপেটা করার। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামগঞ্জের মানুষকে সামাজিক সুরক্ষার বার্তা দিতে নয়া কর্মসূচি নিয়ে এসেছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সরকারি সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁচ্ছছে কি না তার খোঁজখবর নিতেই ‘দিদির-দূত’ রা এলাকায় যাবেন। ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে।
আর জেলায়-জেলায় দিদির দূতরা পৌঁছতেই কিছু-কিছু জায়গায় তাঁদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও, বিষয়টিকে বিক্ষোভ মানতে নারাজ শাসকদল। তাদের বক্তব্য মানুষ নিজেদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানিয়েছেন শুধু।