উলুবেড়িয়া: সোমবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল উলুবেড়িয়ার (Uluberia) নয় বছরের এক নাবালিকা (Minor Death)। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সকালে বাড়ির কাছেই এক ডোবার মধ্যে চাদর জড়ানো অবস্থায় ওই নাবালিকার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। নাবালিকার বাড়ি থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে তার দেহ পড়ে ছিল। এদিন সকালে গ্রামের একটি নির্জন জায়গায় একটি ডোবার পাশে নাবালিকার জুতো পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাতেই সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। ডোবার মধ্যে খোঁজ শুরু হয়। তখনই একটি চাদর জড়ানো অবস্থায় কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধেয় বাড়ির পাশে একটি দোকান থেকে খাবার কেনে ওই নাবালিকা। দোকানে বসে খাবারও খায়। তারপর সেখান থেকে ওই নাবালিকা চলে যায় বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু এর পর থেকে নাবালিকার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়া মেয়ে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। নাবালিকার মা জানিয়েছেন, ‘সন্ধ্যার পরও যখন মেয়ে বাড়ি ফেরেনি, তখন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি।’ সারারাত ধরে খোঁজ করা হয় গ্রামের বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এরপর এদিন সকালে এলাকারই একটি ডোবায় চাদর জড়ানো অবস্থায় নাবালিকার দেহ ভাসতে দেখা যায়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে, ওই গ্রামে গিয়ে পৌঁছান রাজাপুর থানার পুলিশকর্মীরা। সেই সময় পুলিশকে ঘিরে একদফা বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীরা। কীভাবে ওই নাবালিকার মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। চাদর জড়ানো অবস্থাতেই বা কেন পড়ে ছিল দেহ? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পরিবার ও গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভের সময় ভিড়ের মধ্যে থেকে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এদিকে পুলিশ ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহাকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কীভাবে নাবালিকার মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।