হাওড়া: বাঁকড়ায় যুবকের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকড়ার নাপিতপাড়ায় হাওড়া-আমতা রেল লাইনের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কৃষ্ণ পাড়ুই (২১) নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। ওই যুবকের পেটে গভীর ক্ষত ও রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। এমনকী দেহের পাশ থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটিও ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, গভীর রাতে রেলের এক গ্যাংম্যান প্রথম ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই ডোমজুড় থানার বাঁকড়া ফাঁড়িতে খবর যায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের (Police) অনুমান, ট্রেনে দুর্ঘটনাতেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ওই যুবকের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বন্ধুরা ডেকে নিয়ে গিয়ে কৃষ্ণকে গুলি করে খুন (Murder) করেছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যুবকের দেহ উদ্ধার হলে খবরটি চাউর হতে শুরু করে শুক্রবার সকালে। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বাঁকড়ার মিশ্রপাড়ায় যুবকের বাড়ি ও প্রতিবেশীদের মধ্যে। মৃত্যুর কারণ নিয়েও বাড়তে থাকে ধোঁয়াশা। মৃত যুবকের দাদু বিশ্বনাথ পাড়ুই বলেন, ‘‘আমার নাতির পেটে গুলির ক্ষত আছে। ওকে বন্ধুরা রাত ১০টা নাগাদ ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর গুলি করে খুন করেছে। ওর দেহের পাশে মোবাইল ফোনটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যা থেকে ওকে খুন করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।’’
মৃত যুবকের এক প্রতিবেশী সানি কোলে বলেন, ‘‘কষ্ণ-র এক বন্ধু বলেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত তারা পার্টি করেছে। তারপর ওই বন্ধু বাড়ি চলে আসে। এরপরেই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এ থেকেই রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।” যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ট্রেন দুর্ঘটনাতেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বলে মনে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে রেলের এক গ্যাংম্যান প্রথম রেল লাইনে যুবকের দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। অন্য ট্রেনের ধাক্কায় দেহটি যাতে আরও ক্ষতবিক্ষত হয়ে না যায় সে জন্য ওই ব্যক্তিই দেহটি লাইনের পাশে রেখে পুলিশকে খবর দেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ তবে এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বাঁকড়া ফাঁড়িতে যুবকের পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে যুবকের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট। কে বা কারা কৃষ্ণকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গেল? তারপর রেল লাইনের পাশ থেকে কেনই বা তার দেহ উদ্ধার হল? কীভাবে মৃত্যু হল যুবকের? এসব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হলে এ বিষয়ে ধোঁয়াশা আরও খানিকটা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।