Howrah Murder: স্ত্রীয়ের ফেসবুক আসক্তির জেরে রাতভর অশান্তি! রবিবাসরীয় দুপুরে উদ্ধার দম্পতির মৃতদেহ
Howrah: ওই দম্পতির বড় মেয়ে বলেন, "ইদানিং মা মোবাইল ঘাঁটা অনেক বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাবা মাকে সন্দেহ করতো।"
হাওড়া: প্রতিদিনই বাবা নিয়ে যেত আকাঁর ক্লাসে। তবে আজ তেমনটা হয়নি। দুই বোন একাই চলে গিয়েছিল। কিন্তু ঘরে এসে হয়ত এমনটা হবে স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি।
দুপুর পৌনে একটা নাগাদ যথারীতি আঁকার ক্লাস থেকে ফিরে আসে দুই বোন। কিন্তু ফ্ল্যাটে ফিরে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বারংবার বেল বাজিয়েও দরজা খুলছে না বাবা-মা। এরপর চিৎকার করে ডাকতে থাকে তারা। ততক্ষণে বেজে গিয়েছে দুপুর দুটো। মেলেনি সাড়া শব্দ। প্রতিবেশীরাও এসে পড়েছেন যথারীতি। পরে আর উপায় না দেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সানি ও চ্যাটার্জি হাট থানার পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে দেখে ওই দুই মেয়ের বাবা একটি ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। আর মায়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে চাদর চাপা অবস্থায় ঘরের মেঝেতে।
রবিবার এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুরের চ্যাটার্জিহাটের নন্দলাল মুখার্জি লেনে। ১২/২ নন্দলাল মুখার্জি লেনের তিন তলা ফ্ল্যাটটির একতলার ঘর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় গৌতম মাইতি (৪৮) ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী মাইতি (৪০)-এর দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রথমে স্ত্রীকে গলায় তার জড়িয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে তারপর নিজে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন গৌতম।
তবে কী কারণে এমনটা ঘটালেন গৌতম তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, মৃত ওই দম্পতির নবম শ্রেণীতে পড়া বড় মেয়ে মৌরুশি মাইতি এদিন বলে, ‘‘মা মোবাইল ফোন নিয়ে সারাক্ষণ ঘাঁটাঘাঁটি করতো। অনেক সময়ই ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে ব্যস্ত থাকতো। বাবা তা পছন্দ করতেন না। প্রায়সই এই নিয়ে অশান্তি হত। এদিন সকালেও কথা কাটাকাটি হয়। মা কিছুটা রেগেছিলেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ইদানিং মা মোবাইল ঘাঁটা অনেক বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাবা মাকে সন্দেহ করতো। এই অশান্তির জেরেই বাবা মাকে মেরে নিজে আত্মঘাতী হলেন কি না তা বুঝে উঠতে পারছি না।’’ চ্যাটার্জি হাট থানার পুলিশ মৃতদেহ দু’টিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: Crime: ভরা বাজারে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপের পর কোপ, ছেলের পরকীয়ায় সম্পর্কের জেরে খুন হলেন বাবা!