‘খুনের হুমকি, মায়ের ভয়’, রাজনীতি ছাড়ছেন দেবাংশু?

সৌরভ পাল |

Apr 08, 2021 | 9:36 PM

“আমার বাড়ির সামনে ৫টা সিকিউরিটি গার্ড থাকে না। আমি নিজেও রক্ষী নিয়ে ঘুরি না। মায়ের ভয় হয়। আমাকে নিয়ে ইনসিকিউরিটি।”

Follow Us

বালি: ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথমবার বক্তা। সম্ভবত ধুলাগড়েই মাইক হাতে অভিষেক। সে বছরই দ্বিতীয়বারের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের সভায় ডাক। হাতেখড়ি বলতে এটাই ছিল দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya) রাজনীতির ‘বর্ণপরিচয়ের প্রথম পাঠ’। রাজনীতির অ, আ, ক, খ শিখতে না শিখতেই বসতে হল পরীক্ষায়। লোকসভা ভোটে দলের প্রচারে তারকা বক্তার তালিকায় নাম দেবাংশুরও। ততদিনে ওঁর লেখা ‘মমতাদি আরেকবার’, ‘দিল্লি যাবে হাওয়াই চটি’ স্লোগানগুলো রীতিমতো ভাইরাল। একাধিক চ্যানেলের একাধিক সান্ধ্য সভায় গরমগরম বক্তৃতায় দেবাংশুই হয়ে উঠলেন তৃণমূলের তারকা। এক নাগাড়ে টানা কথা বলে যাওয়ার বিরল প্রতিভা, ছড়া কেটে কেটে বিরোধীদের বাক্যবাণে জব্দ করা, এই ইউএসপি-তেই নেত্রীর নজরেও এলেন দেবাংশু। বছর পচিশের মমতা প্রেমে মুগ্ধ হলেন অভিষেকও। এরপর আর কি, নবীনের কাঁধেই দেওয়া হল প্রবীনের দায়িত্ব। রাজ্যস্তরের মুখপাত্র করে দেওয়া হল বালির দেবাংশু ভট্টাচার্যকে।

ভোট বাংলায় এখনও পর্যন্ত দুশোর ওপর সভা হয়ে গিয়েছে। জেলায় জেলায় চলছে হুড খোলা জিপে প্রচার। আর দেবাংশুর খেলা হবে স্লোগান, বলার অপেক্ষা রাখে না, ভোটের বাজারে সব থেকে বেশি ভাইরাল। এবার বালি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ারও কথা ছিল তাঁর। এহেন দেবাংশুর মাথায় কি না ‘অবসরের ভাবনা’।

উজ্জ্বল রাজনৈতিক কেরিয়ার ছেড়ে ‘ঘরের ছেলে ঘরে’ ফেরার কথা কেন বলছেন? দেবাংশুর অকপট উত্তর, “দিদি যাদের বিশ্বাস করেছেন, তাঁরাই ছেড়ে পালাচ্ছেন। তখন মা-কে বললাম আরেক মায়ের আমাকে ভীষণ দরকার। যাঁরা চলে গেছেন, তাঁদের ভরপাই তো করতে পারব না, কাঠবিড়ালির যা ভূমিকা ততটাই করব। অনেক কষ্টে ২টো বছর পেয়েছি রাজনীতি করার।” তাঁর সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নের চোদ্দো তলাতে পাঠানোই তার এক এবং অভিন্ন লক্ষ্য।

তারপর? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সৈনিক বললেন, “ফাইনাল কিছু ভাবিনি। তবে রাজনীতি ছেড়ে দিলে বিজেপির থেকে বেশি খুশি হবে মা।” নিজের সাদামাটা জীবনের উল্লেখ করে দেবাংশু TV9 বাংলাকে বলেন, “আমার বাড়ির সামনে ৫টা সিকিউরিটি গার্ড থাকে না। আমি নিজেও রক্ষী নিয়ে ঘুরি না। মায়ের ভয় হয়। আমাকে নিয়ে ইনসিকিউরিটি।”

পরিবারের কথা ভেবেই কি তাহলে ইতি টানতে হবে? দেবাংশুর জবাব, “প্রধানমন্ত্রী আমার স্লোগান নিয়ে বক্তব্য রাখছেন বিরোধিতা করেছেন, জানি না কার কত রাগ আছে। খুনের হুমকিও তো পেয়েছি। আমার মা, বাবা দিদিকে একা একাই বাড়ি ফিরতে হয়। মা ভাবে, ছেলেকে পড়াশুনা করতে পাঠালাম, ছেলে নিজের সঙ্গে পরিবারকেও ঝুঁকিতে ফেলে দিল।”

যদি সত্যি সত্যিই রাজনীতি থেকে পাকাপাকি বিচ্ছেদ হয়, তাহলে কী করবেন দেবাংশু? তারকা প্রচারকের উত্তর, রাজনীতি না করলে আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবেন না কখনই। দলবদলের ভাবনা উড়িয়ে তার মন্তব্য, “ইঞ্জিনিয়ারই হব। সঙ্গে থাকবে লেখালেখি। আর থাকবে পার্সে সযত্নে রাখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।”

বালি: ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথমবার বক্তা। সম্ভবত ধুলাগড়েই মাইক হাতে অভিষেক। সে বছরই দ্বিতীয়বারের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের সভায় ডাক। হাতেখড়ি বলতে এটাই ছিল দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya) রাজনীতির ‘বর্ণপরিচয়ের প্রথম পাঠ’। রাজনীতির অ, আ, ক, খ শিখতে না শিখতেই বসতে হল পরীক্ষায়। লোকসভা ভোটে দলের প্রচারে তারকা বক্তার তালিকায় নাম দেবাংশুরও। ততদিনে ওঁর লেখা ‘মমতাদি আরেকবার’, ‘দিল্লি যাবে হাওয়াই চটি’ স্লোগানগুলো রীতিমতো ভাইরাল। একাধিক চ্যানেলের একাধিক সান্ধ্য সভায় গরমগরম বক্তৃতায় দেবাংশুই হয়ে উঠলেন তৃণমূলের তারকা। এক নাগাড়ে টানা কথা বলে যাওয়ার বিরল প্রতিভা, ছড়া কেটে কেটে বিরোধীদের বাক্যবাণে জব্দ করা, এই ইউএসপি-তেই নেত্রীর নজরেও এলেন দেবাংশু। বছর পচিশের মমতা প্রেমে মুগ্ধ হলেন অভিষেকও। এরপর আর কি, নবীনের কাঁধেই দেওয়া হল প্রবীনের দায়িত্ব। রাজ্যস্তরের মুখপাত্র করে দেওয়া হল বালির দেবাংশু ভট্টাচার্যকে।

ভোট বাংলায় এখনও পর্যন্ত দুশোর ওপর সভা হয়ে গিয়েছে। জেলায় জেলায় চলছে হুড খোলা জিপে প্রচার। আর দেবাংশুর খেলা হবে স্লোগান, বলার অপেক্ষা রাখে না, ভোটের বাজারে সব থেকে বেশি ভাইরাল। এবার বালি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ারও কথা ছিল তাঁর। এহেন দেবাংশুর মাথায় কি না ‘অবসরের ভাবনা’।

উজ্জ্বল রাজনৈতিক কেরিয়ার ছেড়ে ‘ঘরের ছেলে ঘরে’ ফেরার কথা কেন বলছেন? দেবাংশুর অকপট উত্তর, “দিদি যাদের বিশ্বাস করেছেন, তাঁরাই ছেড়ে পালাচ্ছেন। তখন মা-কে বললাম আরেক মায়ের আমাকে ভীষণ দরকার। যাঁরা চলে গেছেন, তাঁদের ভরপাই তো করতে পারব না, কাঠবিড়ালির যা ভূমিকা ততটাই করব। অনেক কষ্টে ২টো বছর পেয়েছি রাজনীতি করার।” তাঁর সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নের চোদ্দো তলাতে পাঠানোই তার এক এবং অভিন্ন লক্ষ্য।

তারপর? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সৈনিক বললেন, “ফাইনাল কিছু ভাবিনি। তবে রাজনীতি ছেড়ে দিলে বিজেপির থেকে বেশি খুশি হবে মা।” নিজের সাদামাটা জীবনের উল্লেখ করে দেবাংশু TV9 বাংলাকে বলেন, “আমার বাড়ির সামনে ৫টা সিকিউরিটি গার্ড থাকে না। আমি নিজেও রক্ষী নিয়ে ঘুরি না। মায়ের ভয় হয়। আমাকে নিয়ে ইনসিকিউরিটি।”

পরিবারের কথা ভেবেই কি তাহলে ইতি টানতে হবে? দেবাংশুর জবাব, “প্রধানমন্ত্রী আমার স্লোগান নিয়ে বক্তব্য রাখছেন বিরোধিতা করেছেন, জানি না কার কত রাগ আছে। খুনের হুমকিও তো পেয়েছি। আমার মা, বাবা দিদিকে একা একাই বাড়ি ফিরতে হয়। মা ভাবে, ছেলেকে পড়াশুনা করতে পাঠালাম, ছেলে নিজের সঙ্গে পরিবারকেও ঝুঁকিতে ফেলে দিল।”

যদি সত্যি সত্যিই রাজনীতি থেকে পাকাপাকি বিচ্ছেদ হয়, তাহলে কী করবেন দেবাংশু? তারকা প্রচারকের উত্তর, রাজনীতি না করলে আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবেন না কখনই। দলবদলের ভাবনা উড়িয়ে তার মন্তব্য, “ইঞ্জিনিয়ারই হব। সঙ্গে থাকবে লেখালেখি। আর থাকবে পার্সে সযত্নে রাখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।”

Next Article