Dengue Update: প্লেটলেট নেমে গিয়েছিল ১০ হাজারের নীচে, ফের হাওড়ায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু বৃদ্ধার
Dengue Update: পুজোর আগে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
হাওড়া : ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়াতেও সংক্রমণের প্রকোপ কম নয়। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। মৃতের নাম কল্পনা দে। ৭৪ বছরের ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন কল্পনা দেবী। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মৃত বৃদ্ধার বাড়ি হাওড়া জেলার বালি পুরসভা এলাকার বেলুড়ের ৮৮/১ ধর্মতলা রোডে। গত ২২ সেপ্টেম্বর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সল্টলেকের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় বৃদ্ধাকে। পরে অবস্থার আরও অবনতি হয়। গত ২৫ তারিখ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃত বৃদ্ধার পুত্রবধূ মৌমিতা দে-ও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। মৌমিতা দেবী জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে তাঁর শাশুড়ির রক্তের প্লেটলেট ১০ হাজারে নেমে গিয়েছিল। তিনি আরও জানান, বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন কল্পনা দেবী। প্রথমে তাঁকে হুগলির শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর প্লেটলেট ক্রমশ কমতে শুরু করায় রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তখনই তাঁর শাশুড়ির ডেঙ্গি ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে বৃদ্ধাকে পরে সল্টলেকের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়।
উপসর্গ ছিল প্রবল জ্বর ও পায়ে প্রচণ্ড ব্যাথা। তাঁর পুত্রবধূ জানিয়েছেন, স্থানীয় চিকিৎসকেরা কল্পনাদেবীকে ডেঙ্গি পরীক্ষা করার পরামর্শ দেননি। তাঁর অভিযোগ, বালি পুরসভা থেকে নিয়মিত এলাকা পরিষ্কার না হওয়ার কারণেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এলাকায়। বালি পুরসভার তরফে অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে হাওড়া জেলায় এই মরশুমে মোট ৭ জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল। এর মধ্যে হাওড়া পুরসভা এলাকায় তিন জন, বালি পুরসভা এলাকায় তিন জন ও ডোমজুড়ে একজনের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে।