হাওড়া: শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমছে, এমনই দাবি করল হাওড়া পুরসভা। কয়েক সপ্তাহ আগেও হাওড়া পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, যেখানে একশো বা তার অধিক ছিল। সেখানে গত এক সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা অনেকটাই কমে ৩৬ হয়েছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। ডেঙ্গি মোকাবিলায় হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য ও সাফাই বিভাগের বিশেষ অভিযানেই আক্রান্তের সংখ্যা কমানো গিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করলেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী।
আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গি মোকাবিলায় সবরকমভাবে তৎপর থাকবে পুরসভা বলেও এদিন জানান মুখ্য প্রশাসক।
ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে হাওড়া পুরসভা, রাজ্য ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একটি বৈঠকে ঠিক হয়েছে। পুজোর সময় যাতে ডেঙ্গি না বাড়ে তার জন্য সবরকমভাবে তৎপর থাকবেন তাঁরা।
পুজোর সময় হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য ও সাফাই বিভাগের কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুজোর সময়ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বর হয়েছে কি না, তার খোঁজ নেবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। পুজোর কটা দিন ডেঙ্গি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে আরও ২০টি করে অর্থাৎ মোট ৫০টি করে ফ্লেক্স লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ডেঙ্গি নিয়ে নজরদারির জন্য আগামী ২ মাস হাওড়ায় এক জন স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিয়োগ করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সরকারকে যাবতীয় রিপোর্ট দেবেন ওই আধিকারিক।
বর্তমানে হাওড়া পুরসভার ১৫টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২২টি ফিভার ক্যাম্প চলছে। রেল ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে, তাদের পরিত্যক্ত জায়গায় সাফাই অভিযান ও ডেঙ্গির মশা মারার তেল ছড়ানোর মতো কাজ করছে পুরসভা। এদিকে মশা মারার তেলে যাতে কোনওরকম জল মেশানো না থাকে বা লার্ভিসাইড ওয়েলের পরিমাণ যাতে বেশি থাকে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হাওড়া পুরসভা এলাকায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৭।