রামরাজাতলা: রোজ দেরিতে চলছে লোকাল ট্রেন। ছাত্র-ছাত্রী, অফিস যাত্রী থেকে নিত্যযাত্রী- সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সকলকেই। ট্রেনের ভরসায় থেকে ঠিক সময়ে পৌঁছতে পারছেন না গন্তব্যে। বার বার বিষয়টি রেলকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে নামলেন নিত্যযাত্রীরা। বুধবার সন্ধ্যায় রামরাজাতলা রেল স্টেশনে অবরোধ করেন তাঁরা। সন্ধ্যা ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ রাত ১০টাতেও জারি রয়েছে। এর জেরে আপ ও ডাউন লাইনে বন্ধ হয়েছে রেল চলাচল। অবরোধের জেরে হাওড়া কিছু ট্রেন যেমন ছাড়তে দেরি হচ্ছে, তেমনই বিভিন্ন স্টেশনে আটকে রয়েছে হাওড়াগামী লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, চারটি লোকাল ট্রেন হাওড়া থেকে ছাড়তে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকাল, হাওড়া-মেচেদা লোকাল, হাওড়া-মেদিনীপুর লোকাল এবং হাওড়া-আমতা লোকাল। পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও সাঁতরাগাছি এবং রামরাজাতলা স্টেশনের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ ছাড়াও ডাউন লাইনে আটকে রয়েছে ঘাটশিলা-হাওড়া মেমু এক্সপ্রেস, মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল, হলদিয়া-হাওড়া ফাস্ট লোকাল এবং আমতা-হাওড়া লোকাল। এই অবরোধের জেরে হাওড়া থেকে দীর্ঘক্ষণ ছাড়ছে না দক্ষিণ-পূর্ব শাখার ট্রেন। তাই হাওড়ার বদলে কিছু ট্রেন সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া হাতিয়া ক্রিয়া যোগা এক্সপ্রেস, হাওড়া পুণে আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস,
হাওড়া জগদলপুর সমলেশ্বরী এক্সপ্রেস, হাওড়া পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, হাওড়া বেঙ্গালুরু এসএমভিটি এক্সপ্রেস- হাওড়ার বদলে সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়বে বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
রেলের সময়সূচি মেনে চলছে না ট্রেন। রোজই ট্রেন চলে দেরিতে। এর জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর শাখার রামরাজাতলা স্টেশন অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা। বুধবার সন্ধ্যা ৮টার পর অবরোধে নামেন যাত্রীরা। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগস, কখনও আধ ঘণ্টা, কখনও এক ঘণ্টা দেরিতে চলছে ট্রেন। এ নিয়ে অভিযোগ জানালেও রেল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ অবরোধকারীদের। আমতা লোকাল বেশি লেট করছে বলে অভিযোগ।
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রেল পুলিশ। তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান অবরোধকারীরা। এর জেরে আপ ও ডাউন লাইনে আটকে একাধিক ট্রেন। এই অবরোধের বিষয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেল হাওড়া- খড়গপুর শাখার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা চলছে। সমস্যার সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। রেলের আধিকারিকদের প্রতিশ্রুতি পেয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুললেন বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা।