Howrah: ‘রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনি আমরা’, ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই বললেন হাওড়ার তৃণমূল প্রশাসক
RG Kar: আরজি কর নিয়ে সাধারণ মানুষ পথে নামছেন। রাজনৈতিক দলগুলিও নিজেদের মতো করেই প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছে। তাদের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস নেতারা।
হাওড়া: হাওড়া পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শুক্রবার গভীর রাতে আরজিকর নিয়ে বিরোধীদের আন্দোলনকে কার্যত এক হাত নেন সুজয়। লেখেন, ‘সাবধান! (সমস্ত কমরেড ও ভক্ত) আমাদের দিদিকে অসম্মান করবেন না। না হলে তৈরি থাকুন জনগণের গান শোনার জন্য।’ জনগণের গান বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তার ব্যাখ্যা সুজয় দিলেও বিরোধী অন্য অর্থই খুঁজেছেন।
আরজি কর নিয়ে সাধারণ মানুষ পথে নামছেন। রাজনৈতিক দলগুলিও নিজেদের মতো করেই প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছে। তাদের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস নেতারা।
বিজেপি নেতা ওমপ্রকাশ সিং বলেন, “রাত ২টোর সময় একটা আলাদা মেজাজ করে ফেসবুকে বিজেপি কর্মীদের, অন্য দলের কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন। এটাকে বলে সরাসরি হুমকি। সুজয়বাবু তো মানুষের সঙ্গে কোনওদিনই ছিলেন না। তৃণমূলের তাবেদারি করে এই পদে এসেছেন। ওনার রাজনৈতিক যোগ্যতা কী, তা হাওড়ার মানুষ জানেন।”
অন্যদিকে সিপিআইএম জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, আরজি করে যা হয়েছে, তা রাজ্য সরকার চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। নেতাদের তাই এমন পোস্ট। যদিও সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “এটা হুমকি নয়। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনি। মানুষ গান শোনাবেন লিখেছি। ২০১১ সালে মানুষ তা শুনিয়েছেন। ২০১৬ সালে বিধানসভায় সেই গান শুনিয়েছেন। ২০২১ সালেও শুনিয়েছেন বিরোধীদের। ২০২৪ তো দেখেছেনই। আমরা হুমকি দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসই করি না। আমার বক্তব্য একটাই, এতগুলো নির্বাচনে মানুষ গান শুনিয়েছেন। ২০২৬-এও শোনাবে।”