উলুবেড়িয়া : ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনার মধ্যে পড়ে রয়েছে বস্তা। তার ভিতর থেকে কিছু বের করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এলাকার কুকুর। এমন দৃশ্যই চোখে পড়ল উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। বস্তার মধ্যে অন্তত ১৭ টি প্লাস্টিকের ডিবে ছিল, আর তার ভিতরে ভ্রূণ ছিল বলে অভিযোগ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের বোতলে ভরে ভ্রূণ ফেলে দেওয়া হয় ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। তাঁদের দাবি, বহুদিন ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে। বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলেই উল্লেখ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। কাউন্সিলরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড। পুর এলাকার সব আবর্জনা ফেলা হয় ওখানেই। এলাকার কিছু মহিলা এ দিন কাগজ ও প্লাস্টিক কুড়োতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা এক শিশুই প্রথম বস্তাটি দেখতে পায়। এরপর এলাকার মানুষজন গিয়ে দেখেন বস্তার ভিতরে একগুচ্ছ প্লাস্টিকের কৌটা। আর তার মধ্যে ভরা মৃত ভ্রূণ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন ২৫ থেকে ৩০ টি ভ্রূণ ছিল। পুরসভার তরফে দাবি করা হয়েছে ভ্রূণের সংখ্যা ১০। তবে পুলিশ এ ব্য়াপারে কিছু জানায়নি।
এক বাসিন্দার দাবি, প্রায় প্রতিদিনই ২-৩ টি দেহ ফেলে যায় কেউ বা কারা। আগেও এই ঘটনা চোখে পড়েছে তাঁদের। কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। আবারও বস্তায় করে ফেলে দেওয়া হয়েছে দেহ। স্থানীয় নার্সিংহোমে গর্ভপাত করা হয় বলেও দাবি বাসিন্দাদের।
মঙ্গলবার সকালে এলাকার লোকজনই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। সেই বস্তা খুলতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক প্লাস্টিকের কৌটা। তার ভিতরে মৃত ভ্রূণ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমানুর রহমান। পুরসভাকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এই দাবিতে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।
ওই পুরসভার এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ভ্রূণ হত্যা নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও উলুবেড়িয়ার নার্সিংহোমগুলিতে রমরমিয়ে চলছে সেই সব বেআইনি কাজ। পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উলবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।