হাওড়া: রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত লেগে ফের মৃত্যু (Death due to electrocution)। এবার মৃত্যু বছর তেরোর এক কিশোরীর। মৃতের নাম তৃষা ধক। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের নরেন্দ্রপুর গ্রামে। আরও তিন কিশোরী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গেলে, তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে আসে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ।
টিউশন পড়ে চার বান্ধবী বাড়ি ফিরছিল। কিন্তু, সামনেই যে ‘মৃত্যুফাঁদ’, কেউ খেয়াল করেনি। আচমকা চারজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তৃষাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় জল, কাদা ছিল। সন্ধ্যার সময় টিউশন পড়ে ফিরছিল সপ্তম শ্রেণির তৃষা ও তার তিন বান্ধবী। জল, কাদার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার ধারে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত লেগে যায় তৃষার। বিদ্যুতের খুঁটি থেকে একটি তার ঝুলছিল। হাত লাগতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তৃষা। তার তিন বান্ধবীও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ঘটনাটি দেখতে পেয়েই চারজনকে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে তৃষার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর শোকে ভেঙে পড়েছে তৃষার পরিবার। ঘটনার জন্য বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছে তারা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে পুলিশ।
এর আগে রাস্তায় থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত লেগে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জুন মাসের শেষদিকে হরিদেবপুরে রাস্তার বাতিস্তম্ভে হাত লেগে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছিল। সাতদিনের মধ্যে আরও দু’জনের মৃত্যু হয় বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। আবার জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে হাওড়ায় বাতিস্তম্ভে হাত লেগে এক মহিলার মৃত্যু হয়। রাস্তার বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত লেগে মৃত্যুর ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠেছে।