বালি: ১০ বছর বয়সের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অভিযুক্ত শিক্ষক একাধিকবার ওই ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। প্রায়শই কাছে ডেকে শরীরের নানা অংশে হাত দিতেন বলেও অভিযোগ। তারপর থেকেই স্কুলে যেতে বেঁকে বসে ওই ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার নিশ্চিন্দা থানায় গোটা ঘটনাটা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে। ধৃতের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা। একইসঙ্গে যে স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করতেন সেখান থেকেও তাঁর শাস্তির দাবি উঠেছে। শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন বেশ কিছুদিন ধরেই স্কুলে যেতে বললে যেতে চাইছিল না ওই নাবালিকা। এদিন সকালে স্কুলে যেতে বললে বেঁকে বসে। কিছুতেই তাঁকে স্কুলে পাঠাতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। সে আর স্কুলে যাবে না বলেও জানিয়ে দেয় বাড়ির লোকেদের। কিন্তু, তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় তাঁর বাবা-মায়ের। কেন সে এরকম করছে জিজ্ঞেস করতেই কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির লোকেদের কাছে সবটা খুলে বলে সে।
ঘটনায় নির্যাতিতার ঠাকুমা বলছেন, “আজকে আমরা জানতে পারি ওই স্কুলের স্যার আমার নাতনির গায়ে হাত দিয়েছে। সেই ভয়েই ও স্কুলে যাচ্ছে না। নোংরাভাবে ওর গায়ে হাত দিয়েছে। অনেকদিন ধরেই এটা হচ্ছে। এর আগে ৪-৫ বার এমনটা করেছে। কাল যেটা করেছে সেটা সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।” ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে হাওড়া আদালতে তোলা হবে বলে খবর।