হাওড়া: বাজারে গিয়ে ইলিশের সম্ভার দেখলেও মন ভরছিল না বাঙালির। অনেকেই ভাবতে বসেছিলেন, কলকাতাবাসীর কি এবার পদ্মার ইলিশ খাওয়া হবে না? দাম দিতে হলেও পদ্মার ইলিশ চেখে দেখতে প্রতিবারই ইলিশ প্রিয় বাঙালির বিশেষ উৎসাহ থাকে। তবে এবার ইলিশ নিয়ে জটিলতা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। অবশেষে ভারতে ইলিশ রফতানিতে সম্মতি দিয়েছে মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একরকম নিয়মিত ইলিশ আসত ভারতে। শেখ হাসিনা সরকার ইলিশ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর সময়ে ভারতে ইলিশ রফতানি করা হত বাংলাদেশ থেকে। এবার হাসিনা নেই, ইউনূসের তরফেও ইতিবাচক বার্তা পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই তৈরি হয়েছিল সংশয়। পরে ভারতে ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইউনূস সরকার।
সব অপেক্ষা শেষে ভারতে আসছে ইলিশ। বুধবার ইলিশ রফতানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক। আগামিকাল, বৃহস্পতিবারই রাজ্যে আসছে ইলিশ। কোন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কত ইলিশ রফতানি হবে, সেই তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ২৪২০ মেট্রিকটন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে ভারতে। এই অনুমতির মেয়াদ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।
জানা গিয়েছে, পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ইলিশ পৌঁছবে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে। এছাড়া শিয়ালদহ, পাতিপুকুর ও শিলিগুড়ি পাইকারি বাজারেও পৌঁছে যাবে ইলিশ মাছ। সেই পাইকারি বাজার থেকে বিভিন্ন খুচরো মার্কেটে মাছ চলে যাবে। অর্থাৎ বাজার থেকে ইলিশ কেনার জন্য আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমদানি হওয়া ইলিশ মাছের দাম কত থাকবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে দাম চড়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ‘ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ কলকাতার সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ।
২০১৫ সালে বাংলাদেশে তৈরি জাতীয় রফতানি নীতিতে ইলিশকে শর্ত সাপেক্ষে রফতানি পণ্যের তালিকায় রাখা হয়েছিল। ২০১৯ সালে প্রথম বিদেশে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়।