হাওড়া: মায়ের দেহ আগলে পড়ে রইল মেয়ে। হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার তাঁতিপাড়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মিনতি মুখোপাধ্যায় (৭০)। তাঁর দেহ আগলে ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে কাকলি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিব্বতিবাবা লেনে দোতলা বাড়িতে মেয়ে কাকলিকে নিয়ে থাকতেন মিনতি। কাকলি মানসিক ভারসাম্যহীম। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বাড়ি থেকে খুব বেশি বেরোতেন না তাঁরা কেউই। বাড়িতেই সব জিনিস পৌঁছে দিতেন দোকানদাররা। বেশ কিছু দিন ধরে এলাকায় দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। মঙ্গলবার রাত থেকে সেই দুর্গন্ধ প্রকট হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন থানায়। দরজা ভেঙে দেখা যায় ঘরের মেঝেতে পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মিনতির দেহ। আর তা আগলে রয়েছেন মেয়ে কাকলি। খবর পেয়ে কলকাতা থেকে ছুটে যান মিনতির ভাই বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, তাঁর দিদি অসুস্থ ছিলেন। ভাগ্নি মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝেমধ্যে তিনি আসতেন খোঁজ নিতে। দিন দশেক আগে এসে টাকা পয়সা দিয়ে গিয়েছিলেন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, মিনতির মৃত্যু বেশ কিছু দিন আগেই হয়েছে। দেহে পচন ধরেছিল। অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু বলে প্রাথমিক অনুমান। ওই বৃদ্ধার মেয়েকে পাঠানো হয়েছে রিহ্যাব সেন্টারে। সুস্থ হওয়ার পর আত্মীয়দের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।