হাওড়া: সাঁকরাইলের সালিশি সভা থেকে ব্যবসায়ীর বাড়িতে তাণ্ডব, ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সারদুল মোল্লা ও রেজাউল মোল্লা। ধৃতদের হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচলার ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন সেপাইয়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর একটি ঝামেলা চলছিল। মেয়ের বিয়ে নিয়ে ঝগড়ার জন্য স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সোমবার সন্ধ্যায় সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে একটি সভা ডাকা হয়। অভিযোগ, সেই সময় পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক আসেন। তাঁরা আলোচনার মাঝেই শাহাবুদ্দিনকে গালিগালাজ এবং মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর খলিল ফোন করে তাঁর দলকে ডাকেন।
ব্যবসায়ীর দাবি, সেই সময় ঘটনাস্থলে দুটি ম্যাটাডোর এবং ৫০ টি বাইকে করে প্রায় ১৫০ ছেলে ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়। তাঁদের অধিকাংশের হাতে লাঠি, রড, ছুরি এবং ভোজালি ছিল বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, সে সময়ে উপস্থিত ছিলেন কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ভয়ে পালিয়ে যান তিনিও। ঘটনাস্থল থেকে পালান শাহাবুদ্দিন।
কিন্তু শাহাবুদ্দিন পালালেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় না। খলিলের দল শাহাবুদ্দিনের পিছু নেয়। শাহাবুদ্দিনের বাড়ির কিছুটা দূরে তাঁর ভাইপোর বাড়ি। অভিযোগ, শাহাবুদ্দিন সেই বাড়িতে লুকিয়ে আছেন এই সন্দেহে সেই বাড়িতেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হামলাকারীরা। আলমারি ভেঙে চল্লিশ হাজার টাকা নগদ, সোনার গয়না এবং দামি মোবাইল সেট সহ যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। এই ঘটনার দ্বারা তদন্ত শুরু হয়েছে। হামলার ছবি পুলিশের হাতে এসেছে। ঘটনাকে নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।