হাওড়া : অনুমতি ছিল দোতলার। হয়েছে ছয় তলা। পেল্লাই আবাসন হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন প্রোমোটার। এখন সেখানে আবার লোকজন থাকতেও শুরু করে দিয়েছেন। হাওড়া থানা এলাকার ৩৪ নম্বর ডক্টর পি কে ব্যানার্জি রোডের ওই বাড়ি মঙ্গলবার ভাঙতে গিয়েছিলেন পুরকর্মীরা। আর তাতেই একেবারে হুলুস্থূল কাণ্ড। বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুরকর্মীরা। ভর দুপুরে সে কী কাণ্ড! চারিদিকে কোলাহল পড়ে যায়। ধুন্ধুমার কাণ্ডে চমকে ওঠেন এলাকার মানুষজন। বেআইনি বহুতল ভাঙতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন হাওড়া পুরনিগমের কর্মী ও আধিকারিকরা।
প্রচণ্ড বাধার আসে আবাসনের মহিলাদের তরফে। রাস্তায় শুয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। কিছুতেই ভাঙতে দেবেন না বহুতল। অগত্যা পুরকর্মীরা পুলিশের সাহায্য নেন। খবর দেওয়া হয় হাওড়া থানায়। সেখান থেকে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবাসনের অবৈধ নির্মাণের অংশ ভাঙার কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। হাওড়া পুরনিগম সূত্রে খবর, দোতলা ফ্ল্যাট বাড়ি করার অনুমোদন নিয়ে প্রায় ছয় তলা করা হয়েছে।
হাওড়া পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী এই বিষয়ে জানান, ওই বহুতলের প্রোমোটারকে সতর্ক করা হয়েছিল এবং ভেঙে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তিনি তা না মানায়, এদিন আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙতে যায় পুরনিগম। প্রথমে বাসিন্দারা আপত্তি করলেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরে তা মিটে যায়।
উল্লেখ্য, ওই বহুতল ফ্ল্যাটটিকে আপাতত ছয়টি পরিবার থাকে। প্রায় সাড়ে ৪ কাঠা জমির উপর তৈরি হয়েছে বহুতলটি। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বহুতলটি বেআইনি সেই বিষয়টি তাঁরা জানতেন না। তাঁরা না জেনেই ফ্ল্যাট কিনেছেন। ফলে বহুতলটি ভেঙে ফেলায় তাঁদের ক্ষতি হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কোনও ফ্ল্যাট কেনার আগে সেটা বেআইনি কি না, সেই বিষয়টি যাঁরা কিনছেন তাঁদের দেখে নেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বেই হাওড়া পুরনিগম শহরের বেআইনি বহুতলের তালিকা তৈরি করে তা ভাঙার কাজে নেমেছে।